নাগরপুর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের এক প্রান্তিক চাষী পরীক্ষামুলকভাবে বেগুনি জাতের ধানের চাষ করেছে এবছর। সরোজমিনে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের কৃষকের ক্ষেতে গিয়ে দেখা মেলে দুর্লভ প্রজাতির এ বেগুনি ধান।
কৃষক আবু বকর মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, সিপিবি এর এক কমরেড নেতার তাকে এ ধানবীজ উপহার হিসেবে দিয়েছিল। পরে সে বীজগুলো এনে পরীক্ষামূলকভাবে রোপন করে তার কয়েকটি জমিতে। কৃষক এ বিষয়ে আরো বলেন, এর আগে এ ধরনের ধানের চাষ আমাদের এলাকায় হয়নি এই প্রথম আমি উদ্যোগ নিয়ে অল্প কিছু জায়গায় এই ধানের চাষ করেছি পরীক্ষামূলক ভাবে।
আমি বিভিন্ন মাটির বিভিন্ন ক্ষেতে ধানগুলো পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করেছি। কী ধরনের মাটিতে এই ধানের ফলন বেশি হয় সেটি আগে দেখব, পরবর্তীতে এ ধরনের ধানের আবাদ বেশি ফলনশীল জমিতেই করব। এ ধানবীজ গুলো পাওয়ার পর আমি যোগাযোগ করি নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে।
তারা আমাকে সঠিকভাবে কোন দিক নির্দেশনা না দিতে পারায় আমি নিজ বুদ্ধিতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আমার কমরেড নেতা ও লোকমুখে শুনেছি, প্রাচীন চীনের রাজা বাদশারা, গোপনে এ ধরনের ধানের চাষ করতেন। এই জাতের ধানের চাউল বা ভাত ডায়াবেটিস রোগ সহ বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও শোনা যায় এই জাতের ধানের ভাতে উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ থাকায়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবছর এই ধানের ফলনের হিংভাগ পরবর্তী বছরের জন্য বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করবো। যাতে আমি সহ আরো কৃষক বেগুনি জাতের ধানের চাষ করতে পারে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন, বেগুনি জাতের ধান চাষের আমাদের তেমন কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই তবে শুনেছি নাগরপুর উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের এক কৃষক এ বছরই প্রথম ধরনের ধান চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন।
তবে এই জাতের ধানের মধ্যে উচ্চ মাত্রয় কেরোটিন আছে, এটি ঔষধি গুন-গুন সমৃদ্ধ, ভিটামিনটাও বেশি। জানা যায়, চীন দেশের রাজা-বাদশারা খেতেন এ ধানের ভাত। এই ধানের দামটা বেশি হওয়াটাই সাভাবিক। এবছর ফলনের পর বলা যাবে এর ফলন কেমন।