আশিকুর রহমান রনি: কিশোরগঞ্জ জেলার নৌ পুলিশ রেঞ্জের ভৈরব থানার এস.আই রাসেল ও এএসআই ফজলুল হক সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন পুলিশের কন্সট্রাবলের বিরুদ্ধে মোঃ মতি মিয়ার একটি অভিযোগ নৌ পুলিশের রেঞ্জ ডি.আইজি, ঢাকা ও কিশোরগঞ্জ রেঞ্জের পুলিশ সুপার আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করেন। তিনি তুষার ব্রীকস ফিল্ড, বাহাদুরপুর লেবার সর্দার হিসাবে দায়িত্বে আছে এবং এই ইট মিলে তাহার অনেক শ্রমিক থাকে।
কিন্তু বিগত কিছুদিন দরে ভৈরব থানার এস.আই. রাসেল ও এ.এস.আই ফজলুল হক, কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ফোর্স দুরদর্শ নৌ-ডাকাত বুলবুল , তোফাজ্জল, শাহিন, মুসা, হুমায়ুন, লিটন, মকবুল, জামির হোসেন সহ বেশ কয়েকজন মেঘনা নদীতে নৌ ডাকাতির সাথে জড়িত বলে তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আরও জানা যায় গত ০৮/০৪/২০২১ইং তারিখ রাত ৭:৩০ মিনিটে এবং ০৯/০৪/২০২১ইং তারিখে তারা সঙ্গেও দলবল নিয়ে তুষার ব্রীকস্ধসঢ়; ফিল্ড এর মতি মিয়া সহ বেশ কয়েকজনের লেবারদের ঘরবাড়িতে হামলা চালায় এবং তিনি মতি মিয়াকে বিভিন্নভাবে লোক মারফত খবর পাঠায় যে, যদি তাকে প্রত্যেক মাসে ২০ হাজার টাকা করে না দেয় তাহলে তিনি এই ইট মিলে কাজ করতে পারবে না।
শুধু তিনি নয় এখানে সকল ইট মিলে যারা কাজ করে তাদের সকলকেই তারা বিভিন্ন ভয় বিথি প্রদর্শন করে মোবাইল, টাকা পয়সা ইত্যাদি নিয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। প্রসঙ্গত এখানে রয়েছে স্টার ব্রীকস, আর.এস.পি ব্রীকস, এম.এস.বি ব্রীকস, মামনি ব্রীক, কাকলী ব্রীকস ফিল্ডে ইট উৎপাদন অব্যাহত থাকার কারণে অনেক শ্রমিক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে আসেন।
এস.আই রাসেল ও তার সঙ্গে ফোর্স ও ডাকাতদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তারা কর্মস্থল ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগটি সরজমিনে তদন্ত করে গিয়ে দেখা যায় জনৈক টিপু মিয়ার ব্রীকস এর সাথে
একটি ডাকাতির নৌকা যেটি ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হয় তা ঐখানে
নোঙ্গর করে রাখা আছে। যার পাহাড়ায় থাকেন ভৈরব সাইকুনতলা নিবাসি শের আলীর পুত্র মকবুল।
উক্ত মাঠে সাবেক পাহাড়াদার বাহাদুরপুর নিবাসি জাহের মিয়ার পুত্র রওশন আলী ও বাহাদুরপুর নিবাসি গোলাম রাব্বানীর ছেলে আবুল হোসেন মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায় ভৈরব আশুগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত নৌ রুটে যে সমস্ত নৌ ডাকাতি হয়ে থাকে তা বেশিরভাগই বুলবুল,
হুমায়ুন ও মুছার নেতৃত্বে পুলিশের সহযোগিতায় হয়ে থাকেন।
রওশন আলী মিয়া আরও জানান বিগত কয়েক মাস আগে পাহাড়াদারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হুমায়ুন, মুছা ও বুলবুল বাহিনী ডাকাতি করতে পারেনা বিধায় আমাকে হাত পা বেধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে। যার বিভিন্ন জখমের চিহ্ন তার শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে টাকায় রফাদফায় তাকে ছাড়িয়ে আনা হয়। উক্ত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় এনে দূষিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দরখাস্তকারী আবেদনে উল্লেখ করেন।
অভিযোগকারী মোঃ মতি মিয়ার সাথে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুলিশি হয়রানীর ভয়ে আমরা সকলেই পাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি প্রশাসনের উচ্চ মহর অভিযোগটি বিশেষ বিবেচনা করে দুষিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ নৌ পুলিশ রেঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এধরনের কোন অভিযোগ আমি এখনও পাইনি। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।