ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

খানাখন্দে মরনফাঁদ হয়ে পড়েছে সৈয়দপুরের শেরে বাংলা সড়ক

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে তামান্না সিনেমা হলের সামনে থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত নীলফামারী গামী সড়কটি সংস্কার করার দু’বছরের না যেতেই কার্পেটিং উঠে গেছে। অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্তের সৃস্টি হয়ে যান চলাচলে মরনফাঁদ হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তি সত্বেও প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকজনকে এ সড়কেই চলাচল করতে হচ্ছে।

সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের গাফিলতিতেই সড়কের এ অবস্থা বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই সড়কটির দৈর্ঘ প্রায় ৫ কি:মি। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৮ সালে সৈয়দপুর পৌরসভা কার্যালয়ের দরপত্র আহবানের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যে সড়কটি সংস্কারে কার্যাদেশ পায় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর ওই ঠিকাদারী সড়কটি সংস্কার করে। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল অতি নিম্নমানের। গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন ডাবলু বলেন, সড়ক সংস্কার কাজে পাথর-পিচের মিশ্রণ অনেক দুর থেকে গরম করে আনায় ঠান্ডা হয়ে যায়। ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ওই মিশ্রনেই কার্পেটিং করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে রয়েছে শিল্প সাহিত্য সংসদ, সৈয়দপুর প্লাজা, উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, চিনি মসজিদ সহ গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা। লোকজন নীলফামারী থেকে সৈয়দপুর শহরে বা বাজারে যাতায়তের জন্য ওই সড়কটিই ব্যবহার করে থাকে।

কিন্তু বর্তমানে শিল্প সাহিত্য সংসদের সামনে, সৈয়দপুর প্লাজার সামনে, ২ নং রেলওয়ে গুমটি, সৈয়দপুর থানার সামনে, রেলওয়ে স্টেসন সংলগ্ন, চিনি মসজিদ সংলগ্ন, গোলাহাট কলেজ সংলগ্নসহ বেশ কয়েকটি স্থানের ইট-সুরকি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃস্টি হয়েছ। এছাড়া কার্পেটিং উঠে গিয়ে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ফলে বাজার থেকে ওয়াপদার দিকে ওই পথে রিকশা-ভ্যান চালকরা যাত্রী পরিবহনে অনিহা প্রকাশ করে। গেলেও ভাড়া দাবি করে দ্বিগুন। গোলাহাট এলাকার মোছা:পায়েল নামের এক গৃহিনী বলেন, বাজার থেকে বাসায় যেতে রাস্তায় অনেক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ওই এলাকার নাম শুনেই চালকরা বলে রাস্তা খারাপ ওই দিকে যাব না।

আর যে চালক যায় তাকে দ্বিগুন ভাড়া দিতে হয়।বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি, সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম বলেন, শুকনো মৌসুমে ধূলাবালিত এবং বর্ষায় জলকাদায় নাকাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। অনেক সময় রিকশা – সিএনজি চালিত অটোরিকশা উল্টে পড়ে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। নতুন পৌর পরিষদের কাছে অতি সত্বর সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।

সৈয়দপুর পৌরভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি তাই ওই কাজের ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তিনি আরও বলেন, সড়কটি সংস্কারে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।