সৈয়দপুরে শ্বশুর-দেবরের নির্যাতনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন কলেজ শিক্ষিকা
রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্বামীর পরকিয়ায় বাঁধা ও যৌতুকের প্রতিবাদ করায় শ্বশুর-দেবরের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক কলেজ শিক্ষিকা। জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাড়াইশালপাড়া গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার লক্ষণপুর স্কুল এন্ড কলেজের জীববিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মেরিনা মান্নানের সাথে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাড়াইশালপাড়া গ্রামের হাজী খায়রুল বাশারের ছেলে মো. জোবায়দুল ইসলাম বাবু’র বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। বর্তমানে তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই মেরিনার ওপর স্বামীসহ শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি ও দেবররা যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় শ্বশুড় হাজী খায়রুল বাশার, দেবর জসিম, শামীম ও শ্বাশুড়ি জাহানারা বেগম একযোগে মেরিনাকে মারধর করে।
সরকারী জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ এসে নির্যাতিত ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের এক নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ প্রভাষক মেরিনা মান্নান অভিযোগ করে বলেন, অপসোনিন ফার্মায় কর্মরত তার স্বামী জোবায়দুল পরকিয়ায় আসক্ত। এতে বাঁধা দেওয়ায় চলতি মাসের ৪ তারিখে তার স্বামী তাকে বেদম মারধর করে এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
বিষয়টি পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিকার না করে বরং জোবাইদুলকে উস্কানি দেয়। ওই শিক্ষিকা নির্যাতনের ঘটনায় সংবাদকর্মীরা তথ্য সংগ্রহে গেলে হাজী খায়রুল বাশার, তার ছেলে জসিম ও শামীম উদ্ধত আচরণ করে বলেন, যা লেখার লেখেন।
আমাদের লোক পুলিশ প্রশাসনসহ সবখানে আছে। আমাদের কিছুই করতে পারবেন না। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান বলেন, ৯৯৯-এ খবর পেয়ে আমরা ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।