রমজান আর লকডাউনে দাম বেড়েছে প্রয়োজনীয় সকল পন্যের ক্রেতা ও সাধারণ দুর্ভোগে।
সাজ্জাদ মাহমুদ সুইট বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি: রমজানে বাজারে আগুন, পন্য দ্রব্যের দাম দ্বিগুন, চলছে কঠোর লকডাউন, চিত্রটা রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার।
লকডাউনে জন জীবনে যখন নাভিশ্বাস তখন রমজানের শুরুতেই নিত্যর প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে আগুন। দাম বেড়েছে প্রয়োজনীয় সকল পন্যের। অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ায় ক্রেতারা চরম ক্ষুব্ধ।
উল্লেখযোগ্য ভাবে দাম বেড়েছে শসা ৪০-৫০ টাকা কেজি, রমজানের আগেছিল ২০-৩০ টাকা, বেগুন ৪৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি, আগে ৩০-৩৫ টাকা ছিলো, দেশি মুরগী ৪৫০ টাকা, আগে ৩৮০ টাকা ছিলো, পেপের দাম স্বাভাবিক, পেয়াজ, রশুন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি।এমনি ভাবে প্রত্যেক জিনিসের দাম আকাশচুম্বি।
ক্রেতারা বলেন, দেশে কোনো আইন-কানুন নেই। যে যার মতো দাম বাড়াচ্ছে। আর আমাদের ভুগতে হচ্ছে। নয় তো দুদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়েছে প্রায় সকল পন্যের দাম, এটা কি হয়? ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করে দাম বাড়াচ্ছে। তারা বলেন, রোজার মাসে জুলুম আল্লাহ বরদাস্থ— করবে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজায় কিছু পন্যের চাহিদা বেশি। লকডাউন শুরু হয়েছে। পন্যের আমদানি কম, ফলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে মাল। আমাদের বেশি দামে বিক্রি ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু ভিন্ন চিত্র চাষীদের বেলায়। চাষিরা এ সকল পন্যের বেশিরভাগ পানির দামে বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের কাছে।
বাজারগুলোতে দেখা গেছে, দেশি মুরগী ৪৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, লেবু ৩০ টাকা(হালি) ,শসা দেশি ৬০-বিদেশি ৪০,কলা ২০-২৫ টাকা হালি।
ব্যবসায়ী মতলেব আলী বলেন, রোজা ও লকডাউনের কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। স্বাভাবিক দিনে যে মাল এক-দুই মণ বিক্রি করি। দাম বেশি হওয়ার আজ বিক্রির জন্য এনেছি মাত্র এক মণ । বেশি দাম হলে বিক্রি হয় কম।
তিনি বলেন, বেগুন, শসা, গাজর, টমেটো, লেবুর দামও বেড়েছে। পেঁপে আলু ছাড়া কোনো সবজিই এখন ৪০-৫০ টাকার নিচে নেই। পুরো রমজান মাস এই দামে কিনতে হতে পারে বলে জানান তিনি।