ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

নাগরপু‌রে ৭ বছর‌রে শিশু‌ ধর্ষন মামলায় গ্রেফতার আনন্দ

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতি‌নি‌ধিঃ টাঙ্গাই‌লের নাগরপু‌র উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কুষ্টিয়া নয়াপাড়া গ্রামের আনন্দ সেখ (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। প্রতিবেশীর ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে শিশুর বাবার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে আনন্দকে গ্রেফতার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ।

ধুবড়িয়া পূর্বপাড়ার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভুক্তভোগীর বাবা জানায়, ১৮ এ‌প্রিল (রবিবার) বিকেল আনুমা‌নিক ৫.৩০ মিনিটের সময় প্রতিবেশী কু‌ষ্টিয়া নয়াপাড়া গ্রা‌মের মৃত যদুর শেখ এর ছে‌লে আনন্দ শেখ (৫৫) আমার শিশু কন‌্যাকে ফুস‌লি‌য়ে ভূট্টা ক্ষে‌তের পাশের ঘাস ক্ষেতে নি‌য়ে ধর্ষন করে। ধর্ষনরত অবস্থায় আমার মামী বিষয়‌টি দে‌খে ফেল্লে, ধর্ষক দৌ‌ড়ে পা‌লি‌য়ে যায়।

শিশু‌টি‌কে নাগরপুর উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কম‌পে‌ক্সে নি‌য়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনুমানিক ৭.৩০ মিনিটের সময় ডাক্তার কাবেরি দাশ ধর্ষনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে, অবস্থার অবন‌তি দে‌খে টাঙ্গাইল সদরের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেফার্ড করেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা প.প কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান।

সংবাদটি লেখার সময় পর্যন্ত জানা যায় , মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় গতকাল ১৯ এপ্রিল ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে নাগরপুর থানায়। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আজ ৭ নং ক্রমিকে ২০ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখের একটি মামলা দায়ের হয়।

এ মামালার তদন্তকারী একদল চৌকস পুলিশ সদস্য এসআই মো. ফাহিম ফয়সাল তরফদার, ফজলুল হক, এএসআই মো. রাসেল মিয়া, মো. আফজাল হোসেন, কনস্টেবল মো. তোফাজ্জল তদন্তের ক্লুর ভিত্তিতে জানতেপারে, আসামী তার বোনের বাড়িতে আত্নগোপন করে আছে।

পরে বিবাদীর পলাতকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে, উপজেলার পাইশানা গ্রামের বিবাদীর বোনের বাড়ি থেকে মধ্যে রাতে তাকে গ্রেফতার করে চৌকস দলটি। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের পর গ্রেফতারকৃত ধর্ষক আনন্দকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে নাগরপুর থানা পুলিশ।

এ ব‌্যাপা‌রে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আ‌নিসুর রহমান ব‌লেন, ৭ বছরের শিশু ধর্ষনে, মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে গতকাল অভিযোগ দেয়। পরে অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক ৭ নং ক্রমিকে একটি ধর্ষন মামলা দায়ে করা হয়। এছাড়াও গতরাতে মামলার প্রধান আসামি আনন্দকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।