এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অসাধু কাঠ ব্যবস্যায়ীরা বন কর্মকর্তাকে ম্যনেজ করে সরকারী ছুটির দিন রাস্তার গাছ চুরি করে কেটে নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসীর অভিযোগে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। তবে মামলা হয়নী কারো বিরুদ্ধে।
নিজপাড়া ইউনিয়নের প্রেমবাজার থেকে পশ্চিম দিকে মাটির রাস্তার দুই ধারে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা মূলের ইউকিলিপটাস গাছ সরকারী ছুটির দিন শুক্রবার বন্ধ থাকার সুযোগে অসাধু কাঠ ব্যবস্যায়ী পাল্টাপুর ইউনিয়নের সনকা এলাকার রইস উদ্দিনের পুত্র আশরাফুল ইসলাম ও স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী আঃ লতিফ কেটে নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসীরা আটক করে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সংবাদ দেয়।
বন বিভাগের কাহারোল রেঞ্জের বন কর্মকতার নিদের্শে স্থানীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে সর্বশেষ চোরাই কাঠ বোঝাই একটি কুষ্টিয়া ভ্যান নসিমন সহ কিছু গাছ আটক করে তার জিম্মায় নিয়ে রাখে, তার যাওয়ার পূর্বে বেশির ভাগ গাছ নিয়ে পৌর শহরের আজাদ স’মিল ও কিছু অংশ খোকন বাবুর স’ মিলে নিয়ে যায় কাঠ ব্যবস্যায়ীর আশরাফুল।
ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী জাহাঙ্গীর আলম জানায়, উক্ত চক্রটি কিছুদিন পূর্বেও এই চক্রটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার গাছ চুরি করে আত্মসাত করেছে, গাছ কাটার সময় বাধা দিলে বন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান এসে তা জব্দ করলেও পরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়, গাছগুলি এখন আর তার কাছে নাই, তাই আমি ও আমরা মনে করছি আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় অসাধু কাঠ ব্যবস্যায়ীরা এ ধরনের কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
আজকে কাটা চোরাই গাছগুলির আনুমানিক মুল্য হবে প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী আঃ লতিফ ও গাছ কাটার শ্রমিকেরা জানায়, ব্যবস্যায়ী আশরাফুল ইসলাম উক্ত গাছ গুলি কাটাচ্ছে। কাঠ ব্যবস্যায়ীর আশরাফুল মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদেরকে জানায়, গাছ গুলি আমি আমার শ্রমিকদের মাধ্যমে কাটাচ্ছি, তবে যা বলার আমাকে না বলে আমি বন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান কে পাঠাচ্ছি তার সাথেই কথা বলেন।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যান খালেক সরকার জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দ্দেশে আমি ঘটনা স্থলে আসি, রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদ এর, গাছ কাটার লোকদের বলেছিলাম ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করতে, তবে আমি কাগজ পত্র ঠিক করে বৈধ ভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে তাদেরকে কাটার ব্যবস্থা করে দিতাম, সরকার ও ইউনিয়ন পরিষদ কিছু রাজস্ব পেতো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদেরের নিদের্শে সহকারী কমিশনার ভ‚মি মোঃ ডালিম সরকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে শেষ বিকেলে গিয়ে কাঠ গুলি উদ্ধার করে বন কর্মকর্তাকে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দ্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এ রিপোট লিখা পযর্ন্ত বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান অজ্ঞাত কারনে অল্প সংক্ষক গাছ জিম্মায় নিলেও গাছগুলোর বেশী অংশ স’মিলে থাকলেও সেগুলীর কিছুই করেনি এবং কারো বিরুদ্ধে আইন গত পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।