ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

সৈয়দপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই, জনস্বাস্থ্য হুমকির আশঙ্কা

রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে অনুমোদনহীন লাচ্ছা সেমাই তৈরির মহোৎসব। আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা ওসব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো লাচ্ছা সেমাই জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিবর্গ।

বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এসব কারখানা প্রকাশ্য চললেও নজরদারী নেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরাবরের ন্যায় এ বছরও ঈদ মৌসুমে রাতারাতি গ্রামে-গঞ্জে এবং শহরের অলিতে-গলিতে গড়ে উঠেছে প্রায় দেড় শতাধিক লাচ্ছা সেমাই কারখানা।

এসব কারখানায় মিম্নমানের উপকরণ দিয়ে বানানো লাচ্ছা কম মূল্যে বাজারে ছেড়ে নিজেরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এবং ঝুঁকির মুখে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। নামে-বেনামে গড়ে ওঠা একাধিক লাচ্ছা সেমাই কারখানার লাচ্ছার প্যাকেটের গায়ে থাকছে না উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ।

সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের অদূরে কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ মতির মোড় এলাকার দু’শ গজ উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে নুর লাচ্ছা সেমাই কারখানা। ওই কারখানার এককোণে ফেলে রাখা হয়েছে আবর্জনা। সেখানে ভনভন করছে মাছি। তার পাশেই স্তুপ করে রাখা হয়েছে লাচ্ছার খামির। ওই খামিরের ওপর দিয়ে চলাচল করছে তেলাপোকা।

শ্রমিকদের হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক ও পায়ে প্লাস্টিক গামবুট থাকার বিধান থাকলেও এসবের কোন বালাই নেই। এছাড়া উৎপাদন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের খোলা পাম ওয়েল, ময়দা, চিনি ও ডালডা। বিএসটিআই এর অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম জানান, এখনো অনুমোদন দেয়নি।

তারা স্যাম্পল নিয়ে গেছে। পরে ওই কারখানার মালিক এসে বলেন, আমাদের সম্পর্কে আপনাদের যা লেখার আছে, লেখেন। কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই আমরা লাচ্ছা সেমাই বানাচ্ছি। অন্যান্য কারখানাগুলোর অবস্থাও প্রায় একই।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নীলফামারীর সহকারি উপ-পরিচালক বোরহান উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। আপনারা স্থানীয় ইউএনও অথবা এসিল্যান্ডের এর সাথে যোগাযোগ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।