ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

সৈয়দপুরে বেসিন ও টানেল কাজে আসছে না সাধারণ মানুষের

রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর নীলফামারীর সৈয়দপুরে জনসমাগম হয় এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নির্মাণ করা হয় হাত ধোঁয়ার বেসিন। এছাড়া বসানো হয় স্বয়ংক্রিয় জীবানুনাশক টানেল। কিন্তু দেশে করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও নির্মাণের এক বছরেই সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

ফলে বেসিন ও টানেল থাকলেও তা উপকারে আসছে না সাধারণ মানুষের।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, তারা উপজেলা চত্বর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সামনে হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করেছিলেন। প্রতিটি বেসিনে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩০ হাজার ১০০ টাকা করে। ৩টি বেসিনে মোট ব্যয় হয়েছিল ৯০ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্ব স্ব উদ্যোগেও বসানো হয় বেসিন।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মিত বেসিনে সাবান রাখার জায়গা থাকলেও নেই সাবান, নেই হাত ধোয়ার পানি। ভেতরে ধুলোবালি আর ময়লা জমে আছে। সেখানে বসানো স্বয়ংক্রিয় জীবানুনাশক টানেলটি অযত্নে এক কোণায় ফেলে রাখা হয়েছে। এমন অবস্থা ১০০ শয্যা হাসপাতালেরও।

সেখানকার বেসিনটির ট্যাপ ভাঙা। নেই হাত ধোয়ার কোন উপকরন। ভেতরে ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বেসিনটি। সরকারের টাকা ব্যায় করে নির্মিত বেসিন দ্রত সংস্কার করে জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করার দাবি সচেতন মহলের। সৈয়দপুরের সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনা মহামারী মোকাবেলা করতে যাচ্ছে মানুষ এখন আবারো ঘন ঘন হাত ধোঁয়ার প্রয়োজন।

তাই মানুষ যাতে বেসিন ব্যবহার করতে পারে সেদিকে কতৃপক্ষকে নজর দেওয়া উচিৎ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলেমুল বাশার বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের অনেক দেশ। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। কোভিড ১৯-এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে হলে আবশ্যিকভাবে সবাইকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা তথা ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধুতে হবে।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুস সালাম বলেন, যে যে অফিস বা প্রতিষ্ঠানের সামনে হাত ধোঁয়ার বেসিনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা তাদের দায়িত্ব। যদি বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আমরা তা দেখব।