বাঘা প্রতিনিধি (রাজশাহী): রাজশাহীর বাঘা উপজেলাধীন কলিগ্রাম এলাকায় দুই সন্তানের জননীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গনধর্ষণ করা হয়েছে। সোমবার(৩ মে) রাতে কলিগ্রাম এলাকার জৈনিক দিনমজুর স্বামী বাড়িতে না থাকায় দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাঘা থানা পুলিশ মঙ্গলবার (৪ মে) সকালে সুরুজ মালিথা নামে এক ধর্ষককে আটক করেছে। আটককৃত সুরুজ পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বাঘা থানায় লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কলিগ্রাম এলাকার জনৈক দিন মজুর স্বামী নাটোর জেলায় ধান কাটার কাজে রয়েছেন।
আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে ঐ এলাকার তিন ব্যাক্তি গনধর্ষণ এর ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ সূত্রে , কলিগ্রাম এলাকার এলু মালিথার ছেলে ঝুন্টু মালিথা (৩৫), রুবান মালিথার ছেলে সুরুজ মালিথা (৩৬) এবং গুলুমাল এর ছেলে রুজদার (৪২)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় বাড়ির প্রধান গেইটে লাগানো টিনের দরজা ভেঙ্গে অভিযুক্তরা বাড়ির ভেতর প্রবেশ করার সময় শব্দ শুনে ঘরের প্রধান দরজা খুলে বাইরে বের হয় গৃহবধূ। এ সময় উল্লেখিত ব্যাক্তিরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সকালে গৃহবধূ নিজে বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে কলিগ্রাম এলাকা থেকে সুরুজ মালিথাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য বিষয়, এলু মালিথার ছেলে ঝুন্টু মালিথার নামে অসংখ্য অপকর্মের পাশাপাশি মাদক ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে থানায় একাধিক মাদক মামলা ও রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের একজন বড় সদস্য বলেও যানাযায়।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ সুরুজ মালিতা নামে একজন আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। অত:পর দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।