দেশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বড়সড় আয়তনের উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জনসংখ্যা আট লাখের মতো। সবশেষ সুমারি অনুযায়ী এই উপজেলায় শিক্ষিত লোকের সংখ্যা প্রতি ১শ’ জনে ৬৭জন। যার মধ্যে নারী-পুরুষের ব্যবধানও খুব বেশি নয়। আপাত দৃষ্টিতে স্থানীয়রা মনে করছেন এখানে শিক্ষিতের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি কমেছে শিক্ষা গ্রহণে নারী-পুরুষের বৈষম্য।
চলতি সরকারের বর্তমান মেয়াদে দৌলতপুরে শিক্ষা খাতে দৃশ্যমান অবকাঠামো উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। গেল দু’বছরে দৌলতপুরের শিক্ষা খাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার। দৌলতপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসাইন বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আঃকাঃম সরওয়ার জাহান বাদশা’র আমলে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দশ গুনের বেশি কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৫ তলা আধুনিক শিক্ষা ভবন। দৃষ্টিনন্দন ৪ তলা ভবন পেয়েছে ১০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ৪ তলা মাদ্রাসা ভবন করা হয়েছে ৫টি মাদ্রাসায়। মহিষকুন্ডী কলেজে বাস্তবায়িত হয়েছে একটি ৪ তলা ভবন। সম্প্রসারণ স্কুল ভবন হয়েছে দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সম্প্রসারণ মাদ্রাসা ভবন হয়েছে একটি, এছাড়াও স্কুল-কলেজে নতুন একতলা ভবন একটি করে পেয়েছে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১০ লাখ টাকা করে মেরামতের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ মাঠ সংস্কার করার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়া হয়েছে শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বেড়েছে পাঠদান ও স্কুল পরিচালনার লোকবল। শিক্ষা খাতে এসব উন্নয়ন দৌলতপুরের জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ব্যপক সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করছেন অভিভাবকগণ।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সর্দার মোহাম্মদ আবু সালেক বলেন, অবকাঠামোর এই উন্নয়ন এখানকার শিক্ষাখাতে খুবই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সম্প্রসারিত ভবনগুলোতে ডিজিটাল পাঠদানের ব্যবস্থা ও ল্যাবরেটরি স্থাপন করা জরুরি, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের আরও বেশি ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম প্রয়োজন।
দৌলতপুরের শিক্ষা খাতে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশার কথা জানান কুষ্টিয়া-১ আসনের এমপি সরওয়ার জাহান বাদশাহ্। তিনি বলেন, জনসংখ্যা ও ভৌগলিক প্রেক্ষাপটে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভবনের ঘাটতি রয়েছে সেটা পুরোনের চেষ্টা করছি। ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বের কথাও জানান তিনি।
প্রকল্পগুলো প্রায় শতভাগ শেষের দিকে বলে জানা গেছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় বেশকিছু।