ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ৯ মে, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

বাগমারায় গভীর নলকুপ দ্বন্দের জেরে থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কোন্দা গ্রামে গভীর নলকুপ নিয়ে দ্বন্দের জেরে দুই পক্ষ পাল্টা পাল্টি থানায় অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার ০৫ নং আউচপাড়া ইউনিয়নের কোন্দা গ্রামে।

বাগমারার কৃষকের প্রথম ও প্রধান ফসল হচ্ছে ধান। তাই ধান চাষে শুধু কৃষকই নয় সরকারের আলাদা নজর থাকে। কারন কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। অার ধান চাষের প্রধান মন্ত্রই হচ্ছে সেঁচ পানি। পানি সেঁচের প্রথম অস্থা গভীর নলকুপ।

অথচ এই গভীর নলকুপ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে উপজেলার কোন্দা ( পশ্চিম পাড়া) গ্রামের লোকজন। কোন্দা বিলের গভীর নলকুপটি অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় দীর্ঘদিন থেকে ধান চাষে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ কৃষকদের। অবশেষ গ্রামের সকলে মিলে কমিটি গঠনের মাধ্যমে পুনরায় গভীর নলকুপটি মেরামতের কল্পে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই আলোকে ২০০৭ সালে ২০ সদস্যের গভীর নলকুপ পরিচালনা কমিটি করা হয়।

এই কমিটির শর্ত থাকে যে, ফসল চাষের সকল পানির খরচ উক্ত কমিটি বহণ করবে। যার বিনিময়ে উৎপাদিত ফসলের ছয় ভাগের এক ভাগ উক্ত কমিটি পাবে। এবং গভীর নলকুপটির যাবতীয় খরচ ঐ কমিটির সকল সদস্যরা সমান ভাবে বহন করবে। এরপর থেকে কোন্দা গ্রামসহ আশেপাশের এলাকার কৃষকরা সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে চাষাবাদ করতে থাকে।

কিন্তু কোন স্বার্থান্বেষী মহল সাধারণ কৃষকদের কু-পরামর্শ দিয়ে দ্বন্দ বাধানো নিয়ে ব্যাস্ত৷ এই দ্বন্দকে আরও খুন খারাপির দিকে ঠেলে দিতে কমিটির ৭ জনকে বাদ দিয়েছে কমিটির এক নাম্বার সদস্য আজহারুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা।

এবিষয়ে বাদ পড়া সদস্যদের নিকট জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, আমাদের কেন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে আমরা তা জানতে চাই। আর তাছাড়া কমিটি থেকে বাদ দিতে হলে মিটিং ও নোটিশের মাধ্যমে বাদ দিতে হবে। তারা যে বাদ দিয়েছে সেটা সঠিক করেনি। এটা সম্পুর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। আমরা এই বাদ মানিনা। উল্টো আমাদের নামেই থানায় অভিযোগ করেছে।

আজহারুল ও তার সাঙ্গো-পাঙ্গোরা আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। তারা আমাদেরকে মেরে ফেলবে। আমরাও বলতে চাই এই গভীর নলকুপ কৃষকের, প্রয়োজনে ওরা সোরে যাক আমরা গভীর নলকুপ চালাবো। তবে এই কমিটির এক নাম্বার সদস্য আজহারুল এর সাথে কথা বললে তিনি উল্টো অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, যাদের কে বাদ দেওয়া হয়েছে তারা নিজের ইচ্ছেতে কমিটি থেকে চলে গেছে।

পরে এই বিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাগমারা উপজেলার সহকারি প্রকৌশলী’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।