ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ৯ মে, ২০২১ , আজকের সময় : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

এনজিও কর্মী আফরোজার বিরুদ্ধে টাকা নয় ছয় এর অভিযোগ।

এনজিও কর্মী আফরোজার বিরুদ্ধে টাকা নয় ছয় এর অভিযোগ


কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বড়গাংদিয়া ঈদগাহ্ মোড়ে অবস্থিত কাবেজ আলীর খাট, সোকেচ, আলমারি, টিভি ফ্রিজ জাতীয় শোরুমের ব্যাবসা।

সেখানে নগদ ও সহজ কিস্তির মাধ্যমে বিক্রি করা হয় পন্য, আর সেই কিস্তিতে বিক্রিয় হওয়া পন্যগুলোর টাকা আদায় করার লক্ষে আনুমানিক সাত মাস নিয়োগ পায় আফরোজা খাতুন নামের দৌলতপুর উপজেলার সেন্টার মোড়ের বসবাসরত এই মহিলা।

বিগত বেশ কিছু যাবদ সেখানে আফরোজা খাতুন কাজ করার কারনে ঐ শোরুমের মালিক কাবেজ আলীর কাছে হয়ে উঠে বিশ্বাসী। এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাবেজ আলীর ব্যাবসায়ী লেনদেনের মধ্য থেকে সু কৌশলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা বলে অভিযোগ করে শোরুমের মালিক কাবেজ আলী।

সব কিছু ঠিকঠাক মতো চলছিলো, হঠাৎ একদিন শোরুম মালিক কাবেজ আলী নিজে অফিসিয়াল মুল খাতা ও সিট নিয়ে মাঠ পরিদর্শন করতে গেলে দেখে বেসির ভাগ গ্রহকদের কাছ থেকে পাওনা টাকা উঠানো হয়ে গেছে।এবং কিছু গ্রাহকদের কাছ থেকে পন্য দেবে বলে নিয়েছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে, এসকল কথা শুনে রিতি রকম হতবম্ভ হয়ে যায় কাবেজ আলী।

কোন দিশে না পেয়ে কাবেজ আলী খবর দেয় মাঠকর্মী আফরোজা ও তার পরিবারের লোকজনকে, এক পর্যায়ে আফরোজা সহ তার পরিবারের লোকজন কাবেজের বাড়িতে দেখা করতে আসে এবং সেখানে স্থানিয় চেয়ারম্যান সহ এলাকার লোকজনের সমন্নয়ে মাঠকর্মী আফরোজা খাতুনের কাছ থেকে টাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, হিসাব করে আফরোজার পরিবারের লোকজন নয় ছয় করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফিরোৎ দিতে রাজি হয়।

পরে সেখান থেকে টাকা নিতে আসার নাম করে মাঠকর্মী আফরোজার পরিবারের লোকজন থানায় উপস্থিত হয়ে কাবেজ আলীর নামে একটি এজাহার দায়ের করে এবং এজাহারে উল্লেখ করা হয় কাবেজ আলী মাঠকর্মী আফরোজা খাতুনকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে।

এমন মিথ্যা এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ কাবেজ আলীকে গ্রেফতার করে নিয়েও যায় বলে অভিযোগ করে ব্যাবসায়ী কাবেজ আলী। বর্তমান কাবেজ আলী ঐ মিথ্যা মামলা থেকে জামিনে আছে।

এবিষয় গণমাধ্যম কর্মীরা অনুসন্ধানে গেলে মেলে আভিযোগের সত্যতা।জানা যায় একাধিক গ্রহকের কাছ থেকে মাঠকর্মী আফরোজা খাতুন প্রতি সপ্তাহে টাকা নিয়ে গেলেও তা মুল খাতায় জমা হিসাব না দিয়ে নিজেই রেখে দিয়েছে।

এবিষয়ে ১৪ নং আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আনছারী বিপ্লব বলেন, কাবেজ আলীর নামে মিথ্যা মামলার কথা শুনে আমি তো হতবাক তিনি আরো বলেন কাবেজ আলী মাঠকর্মী আফরোজাকে কিডন্যাপ টা করলো কখন আামার বুঝে আসে না।

একটি আভিযোগের ভিত্তিতে মাঠকর্মী আফরোজ খাতুনকে তার পরিবারের লোকজন সহ বসে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা যদি কিডন্যাপ হয়, তাহলে আমাদের আর কিছু বলার থাকে না। ব্যবসায়ী কাবেজ আলী তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।