ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৬ মে, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

রাজশাহীতে পৈতৃক জমির ভাগাভাগি নিয়ে হামলা মামলা হলেও সমাধান পাইনি ভুক্তভোগী পরিবার

মাজহারুল ইসলাম চপল, ব্যুরো চীফঃ রাজশাহীতে পৈতৃক জমির ভাগাভাগি নিয়ে হামলা মামলার শিকার হন নিউমার্কেট ( ষষ্টিতলা ) নিবাসি মমতাজ বেগমের ছেলে জুয়েল ও রাসেল। যা একাধিক গনমাধ্যমে প্রকাশ হলেও এখনও কোন সমাধান পাননি রেজাউল করিম জুয়েল ও এজাজুল করিম রাসেল এর পরিবার।

অভিযোগ ও প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মৌজার জেএল নং- ৯, দাগ নং-৪৩৮৬, খতিয়ান নং- ১৭০৬, এর ১১.৮৭ একর জমির মালিক ছিলেন ফজলার রহমান । তার মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তির মালিক হন তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা।

২০১৩ সালে এই সম্পত্তি নিয়ে মৌখিক ভাগাভাগি হলেও তা বাস্তবায়ন হয় ২০১৮ সালে।এরপর ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখে অংশিদারদের মধ্যে ঘরোয়াভাবে মৌখিক বন্টন করে এবং পরে সার্ভেয়ার ডেকে যে যার মত অংশ বুঝে খাজনা খারিজ করে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে এই সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা বাধে দুই অংশিদারের মধ্যে।

মমতাজ নাহার ও নাসরিন বেগম দুইজনের ছেলে মেয়েরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে একটি সমাধানও করে দেন থানার অফিসার ইনচার্জ নিবারণ চন্দ্র বর্মন। তবুও নাসরিন বেগম (৪৩)ও তার ছেলে তোফাইরুল ইসলাম রাহাত (২৪)ও মেয়ে শিরিন সুলতানা মেঘলা (২৮) সমাধানটি মানে না।

অনৈতিক দাবী করে বসে তারা। এরই জের ধরে গত ৩ এপ্রিল সকাল ১১ টায় রাহাত ও মেঘলা গুন্ডা ভাড়া করে মমতাজ নাহারের ছেলে রেজাউল করিম জুয়েল ও এজাজুল করিম রাসেল কে লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে এই সম্পদ জবরদখলের জন্য রাহাত, জামাল ওরফে রুকু, কামাল, মেঘলা এরা সবাই মিলে চেষ্টা চালাই। এমনকি বহিরাগত গুন্ডা ও মাস্তান ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল তারা।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, জুয়েল, রাসেল ও তার চাচা আলমগির হোসেন নিঃসন্দেহে ভাল মানুষ। তাদের কে অন্যায় করে মারা হয়েছে। কারন তারা এই সম্পদের বৈধ মালিক। তাদের কাগজপত্র সকল কিছু সঠিক রয়েছে। থানার ওসি দেখেছে কমিশনার দেখেছে তাদের কোন ভুল দেখতে পাইনি। এই রাহাত, জামাল, কামাল এরা জোর করে এদের জমি দখল করছে।

এবিষয়ে সম্পত্তির এক অংশের মালিক মমতাজ বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই সম্পত্তির বৈধ মালিক। আমাদের কাগজপত্র সঠিক আছে। এই কাগজপত্র সবাই দেখেছেন, আমাদের কাগজপত্রের কোন ত্রুটি নাই। তারপরও আমার সন্তানদের অন্যায়ভাবে মারধর করেছে তারা। আজ যদি পুলিশ না থাকতো তাহলে হয়তো আমার সন্তান কে মেরে ফেলতো।

গত ৩ এপ্রিল আমার সন্তানকে ( জুয়েল ও রাসেল ) এমনভাবে মারধর করেছে, আজ জুয়েলের অবস্থা খুব সংকটাপন্ন। তার পায়ের রগ ছিড়ে গেছে। এই অঙ্গ হানীর দায়ভার কে নিবে? তবে এবিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সাহেব আমাদের খুব হেল্প করেছেন। আমরা তার নিকট কৃতজ্ঞ। পরে মিডিয়া কর্মীরা বিবাদী নাসরিন বেগমের ও তার সন্তানদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।