নওগাঁয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে হাসি ফুটলো ৫০২ ভূমিহীন পরিবারের মুখে
মো.আককাস আলী, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে নওগাঁ জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০২টি গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারবাড়ি পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পেরআওতায় ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ওগৃহ প্রদানকর্মসূচীর আওতায় এসব এসব বাড়ি প্রদান করা হয়েছে।নওগাঁ’র জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন
প্রত্যেককে ২শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত পূর্বক গৃহ প্রদান করা
হয়েছে।গৃহনির্মান সম্পন্ন হওয়ার পর সকল উপজেলায় এসব গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারের অনুকুলে কবুলিয়ত ও নামজারী সম্পন্ন হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার
সারাদেশের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেনওগাঁয় এই ৫০২ উপকারভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসকের দেয়া তথ্য মতে উপজেলা ভিত্তিক গৃহ বরাদ্দকৃত পরিবারের সংখ্যা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১০টি, বদলগাছি উপজেলায় ৯টি, মহাদেবপুর উপজেলায় ৭৬টি, আত্রাই উপজেলায় ১০টি,রানীনগর উপজেলায় ৩৩টি, মান্দা উপজেলায় ২১টি, পত্নীতলা উপজেলা ১১৭টি,ধামইরহাট উপজেলায় ২০টি, পোরশা উপজেলায়৭১টি, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭৫টি এবং সাপাহার উপজেলায় ৬০টি।
সরকারী অর্থায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের এসব বাড়ি তৈরী করতে প্রতিটির জন্য খরচ হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতে মোটব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। অপরদিকে ইতিপূর্বে প্রথম পর্যঅয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরে মুজিবশতবর্ষে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় ভুমিহীন “ক” শ্রেণীর দূর্যোগ সহনীয় ১০৫৬টি গৃহনির্মান করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা ভিত্তিক এসব গৃহ বিতরনের পরিমাণ হচ্ছে আত্রাই উপজেলায় ১৭৫টি, রানীনগর উপজেলায় ৯০টি,নওগাঁ সদর উপজেলায় ১১০টি, বদলগাছি উপজেলায় ৪৮টি, সাপাহার উপজেলায় ১২০টি, পতœীতলা উপজেলায় ১১৪টি, মহাদেবপুর উপজেলায়৭৬টি, মান্দা উপজেলায় ৯০টি, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭১টি, ধামইরহাট উপজেলায় ১৫০টি এবং পোরশা উপজেলায় ৫৪টি। প্রথমপর্যায়ের এসব প্রতিটি বাড়ি নির্মান করতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭১হাজার টাকা করে। এতে মোট খর হয়েছে ‘১৮ কোটি ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা।
মহাদেবপুর : মহাদেবপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২ শতক জমিসহ স্বপ্নের পাকা বাড়ি পেয়ে ৭৬ ভূমিহীন পরিবারের মুখে হাসি ফুটলো। এ উপলক্ষে রোববার (২০ জুন) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৭৬ গৃহহীন পরিবারের মাঝে ২ শতক জমিসহ স্বপ্নের পাকা বাড়ি ও দলিল বিতরণ করা হয়েছে। সারাদেশে ভিডিও কন্ধসঢ়;ফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বাড়ি বিতরণ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলনের
সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, নওগাঁ ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, ভাইস চেয়ারম্যান অনুক‚ল চন্দ্র সাহা বুদু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া রহমান পলি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুলতান হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার
কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায়, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অজিত কুমার মন্ডল, মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান মিঞা।
এছাড়া এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা খাতুন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়, স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একাধিকবার উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভার মাধ্যমে প্রকৃত সুফলভোগী নির্বাচন, সুবিধাজনক খাস জমি উদ্ধার ও মানসম্মত ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
সুবিধাভোগীদের নামে জমির দলিলও রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের পরপরই তাদের মধ্যে সেসব দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুলতান হোসেন জানান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এই উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের রোদইল মৌজায় ৩৩টি, খাঁপুর মৌজায় ৩৪টি ও চেরাগপুর ইউনিয়নের বাগধানা মৌজায় ৯টি ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
এরমধ্যে দুএকটি বাড়িতে রং-বার্নিশের কাজ চলছে। প্রতিটি বাড়িতে এক লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট-বাথরুম ও একটি বারান্দাসহ রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে এসব ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরবাড়িতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের জন্য পাঁচটি দরজা ও পাঁচটি জানালা রয়েছে।