ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১ , আজকের সময় : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

দৌলতপুরে লকডাউনে চোর- পুলিশ খেলা

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রুপ নেওয়াতে গত রবিবার রাত ১২ টা থেকে সাত দিন কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসন। এদিকে দৌলতপুর উপজেলা ভারত সিমান্তে অবস্থিত প্রায় ৪৭ কিলোমিটার সিমান্ত পড়েছে দৌলতপুরে। তার ভিতরে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নে ধর্মদহ সিমান্তের প্রায় ১৭ কিলোমিটার সিমান্ত কাটা তারের কোন বেড়া নেই তাই ঝুকিতে আছে দৌলতপুর উপজেলা।

দৌলতপুর উপজেলাকে মহামারীর হাত থেকে বাচাতে রবিবার দুপুরে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া ১ দৌলতপুর আসনের সংসদসদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর টি এই ও ডা.তুহিন, থানা অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন, বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, দৌলতপুর কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়া সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এ সময় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় জেলা প্রশাসন ঘোষিত যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের সাথে মানুষকে বাচাতে এক যোগে কাজ করবেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়া মাঠে নেই একজন জনপ্রতিনিধি। উপজেলা চেয়ারম্যান মানুষকে সচেতন করতে ও লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সোমবার সকাল থেকে কঠোর পরিশ্রম করছে।

এদিকে উপজেলার বেশকিছু বড় বাজারের বাজার কমিটির সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান, যেমন প্রাগপুর বাজারের সভাপতি প্রাগপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ভাগজোত বাজারের সভাপতি রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, দৌলতখালী বাজারে সভাপতি দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মথুরাপুর বাজারের সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাবেক তথ্য বিষয়ক সম্পাদক টিপু নেওয়াজ । তাদের লকডাউন বাস্তবায়নে কোন ভুমিকা চোখে পড়েনি বরং তাদের বাজার গুলি চলেছে স্বাভাবিক দিনের মত।

উক্ত বাজার গুলির ব্যবসায়ীরা জোর গলায় দাবি করেন আমাদের সভাপতি চেয়ারম্যান আমাদের কে কি বলবে। এ দিকে সচেতন মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যাদের এই সময় জনগনের পাশে থাকার কথা তারা ঘরে বসে আছেন।পুলিশ দোকানপাঠ বন্ধের নির্দেশ দিলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর দোকানদার অগের মতোই দোকান খুলে বসছে।

এযেন চোর- পুলিশ খেলা খেলছে দোকানমালিকরা পুলিশের সাথে। এই চোর- পুলিশ খেলা বন্ধের জন্য প্রতিটা বাজারে একজন পুলিশের সাথে গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালনের কাজে লাগায় তাহলে লকডাউন বাস্তবায়নে খুব একটা বেগ পেতে হবেনা।