ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪

সৈয়দপুরে শহীদ আমিনুল হক স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: মহান মুক্তিযুক্তে  নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কৃতি সন্তান   শহীদ আমিনুল হকের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার  সৈয়দপুর পৌর কার্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীতে তাঁর স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর ভিত্তপ্রস্তর স্থাপন করেন।

পরে  মা ও শিশু হাসপাতাল চত্বরে এক আলোচনাসভা  অনুষ্ঠিত হয়।প্রজন্ম’৭১ এর সভাপতি এম মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন,  পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিনুল হক মহসিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান ময়না, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত)  রফিকুল ইসলাম বাবু, শহীদ পরিবারের সন্তান এম আর আলম ঝন্টু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব বেগ,পৌর প্যানেল মেয়র-১ শাহীন হোসেন, কাউন্সিলর জোবাইদুর রহমান শাহীন ও মুন্না সরকার, প্রজন্ম’৭১ এর সহ-সভাপতি মজিবুল হক,  প্রমুখ। আলোচনাভাটি সঞ্চালনা করেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও সৈয়দপুর সিটি আন্দোলনের আহ্বায়ক তামিম রহমান।

শহীদ আমিনুল হকের ছেলে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন,  আমার বাবা শহীদ আমিনুল হক ছিলেন সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (কোষাধ্যক্ষ), ১৯৫৮ সালে ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত সৈয়দপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সৈয়দপুর শিল্প সাহিত্য সংসদের সদস্য।

পাক সেনারা ১৯৭১   সৈয়দপুর হাই স্কুল থেকে  তুলে নিয়ে গিয়ে থেকে তাঁকে  সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের কাজ করান। কাজ না করায় চাবুক মারেন। পরে সেখান থেকে পাকবাহিনীর দোসর এজাহার নির্দেশে তুলে নিয়ে  মাড়োয়ারীর পাট গুদামে খুনি মহিউদ্দিন, সম্পদসহ আরো অনেক খুনিরা তাঁর হাত-পা বেঁধে প্রথমে চোখ তুলে ফেলে। পরে  কান,  হাত-পা কেটে টুকরা টুকরা করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে এবং পাট গুদামে মাটি চাপা দেয়।