ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বেড়েছে সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগী

মোঃ জিল্লুর রহমান(দৌলতপুর)কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগী আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। কিন্তু সামাজিক বিড়ম্বনার ভয়ে উপসর্গ থাকার পরও অনেকে করোনা পরীক্ষা করতে চান না। শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহারেও উদাসীনতা দেখা যায়।

উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কুষ্টিয়া শহর থেকে দৌলতপুর উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। সেখান থেকে সীমান্ত এলাকা ২২ কিলোমিটার। গত সপ্তাহ খানেক হলো সীমান্ত এলাকাসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-গলাব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় বাড়ি বাড়ি কেউ না কেউ জ্বর-সর্দি, গলাব্যথা, মাথাব্যথায় ভুগছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, আগে গ্রামের মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার কম ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহ খানেক থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জ্বর-সর্দি, গলাব্যথা, মাথাব্যথায় ভুগছেন এদের মধ্যে অনেকেই করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলা সদরের মানুষের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষই বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল হাসান আরো বলেন, চলতি মাসে এই উপজেলায় ২০৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ১০জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।

এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত।তবে এটি সিজনাল ইনফ্লুয়ে়ঞ্জা মৌসুমি ইনফ্লুয়ে়ঞ্জার কারণে হঠাৎ জ্বর, শুষ্ক কাশি, মাথাব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া হতে পারে গলা ব্যথা এবং সর্দি। সাধারণ ফ্লু’তে অধিকাংশ মানুষ কোন চিকিৎসা ছাড়াই সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন, জ্বর, সর্দি-কাশি দেখা দিলে আতংকিত না হয়ে দ্রæত স্থানীয় ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

 

অনলাইনে পড়ুন বাংলাদেশের সকল পত্রিকা। [1]