ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

অবশেষে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছাবিরনের বাড়ীতে দৌলতপুরের ইউ এনও শারমিন আক্তার

অবশেষে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছাবিরনের বাড়ীতে দৌলতপুরের ইউ এনও শারমিন আক্তার।


মোঃ জিল্লুর রহমান: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের তালবাড়ীয়া এলাকার মৃত রাস্তুল মন্ডলের স্ত্রী ছাবিরন নেছার বয়স্ক ভাতার টাকা ফেরত দিতে উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিদের চাপে ছুটে আসলেন দৌলতপুর সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তাগণ।

গত ১২ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে ‘কে দিবে ছাবিরন নেছার প্রশ্নের জবাব’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ হলে মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। অনবরত ফোন কল আসতে থাকে ভিডিও নির্মাতা সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মুঠো ফোনে। প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তি থেকে শুরু করে নানান শ্রেণী পেশার মানুষ জানতে চান ছাবিরন নেছার বয়স্ক ভাতার টাকা না পাওয়ার বিষয়ে।

১২ জুলাই সকাল সকাল ছাবিরনের বাড়ী গিয়ে হাজির হন দৌলতপুর থানার মানবিক (ওসি) নাসির উদ্দিন, শোনেন ছাবিরনের দুঃখ দুর্দশার কথা এবং হাতে পাঁচশত টাকার একটি নোট ধরিয়ে আশ্বাসের কথা শুনিয়ে বিদায় নেন।

এর মাঝে ভিডিও নির্মাতার কাছে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যাক্তির ফোন আসে যে তিনি সুবিধাভোগী ছাবিরনের বাড়ীতে খোঁজ খবর নিতে যাবেন ,কিন্তু বিধি বাম দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে ফোন কলে জানতে পারেন যে তিনি বিশেষ কারনে আসতে পারছেননা।

কিন্তু তিনি না গেলেও বিকেল গড়িয়ে ঠিক সন্ধা নাগাদ গিয়ে হাজির হোন সমাজ সেবা অফিসের দু’জন কর্মকর্তা। ক্ষতিয়ে দেখতে থাকেন ছাবিরনের বয়স্ক ভাতার টাকা না পাওয়ার কারন। এক সময় আইডি নম্বর সম্বলিত ভাতা বইটি দেখতে চান ঐ কর্মকর্তা, তখনই আস্তে আস্তে বের হতে থাকে ভাতা না পাওয়া নেপথ্যের কাহিনি।

ছাবিরন বলেন গত বছর ইস্কুল ঘরে অন্য দশজনার মত আমাকে ৩হাজার পঞ্চাশ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বইটি নিয়ে নেয়। তার পরের কিস্তিতে আমার সাথে টাকা পাওয়া সবাই মোবাইলে টাকা পাচ্ছে কিন্তু আমি পাইনা, ভাতা খাই কিডা, আমার ভাতার টাকা খাই কিডা।

সুবিধাভোগী ও অসহায় বৃদ্ধা নারী ছাবিরন নেছা।

১৩ জুলাই সকাল সাড়ে ১১ টার সময় দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আক্তার, সুবিধাভোগী ও অসহায় বৃদ্ধা নারী ছাবিরন নেছার খোঁজখবর নিতে আসেন। তিনি জানান, সংবাদ প্রকাশের পরে সমাজ সেবা কর্মকর্তাদের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ প্রদান করি ইতি মধ্যে তারা সংশোধনের কাজ শুরু করেছে এবং সর্ট টাইমে ঠিক হয়ে যাবে।

বয়স্ক ভাতার কার্ডে দেওয়া মোবাইল নাম্বার টি সঠিক না থাকায় টাকা আসেনি, এখন নতুন নাম্বার দিয়ে ভুল সংশোধন করে নিয়মিত বয়স্ক ভাতার টাকা পাবেন বলে জানান তিনি। এসময় অসহয় এ বৃদ্ধা নারী ছাবিরন নেছার হাতে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আক্তার।