ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা‘র বিরুদ্ধে নিন্মমানের বাদ্য যন্ত্র ক্রয়ের অভিযোগ

দৌলতপুর(কুষ্টিয়া)প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া দৌলতপুরে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের নিন্মমানের বাদ্য যন্ত্র হারমোনিয়ম, তবলা ক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের অধীনে দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর প্রত্যেকটিতে কো-অর্ডিনেটর, জেন্ডার প্রমোটার, আবৃত্তি ও সংগীত শিক্ষক হিসাবে মোট ৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

করোনার কারণে গত বছরের ১৪ মার্চ ক্লাবগুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। চলতি বছর তা আবার চালু হলেও করোনার প্রকোপ বাড়ায় আবার বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে অধিদপ্তর থেকে প্রত্যেক ক্লাবের জন্য সংগীত বিষয়ক বাদ্য যন্ত্র ক্রয়ের জন্য বরাদ্ধ আসলে গত ৯আগষ্ট সকল ক্লাবে হারমোনিয়ম, তবলা,কেরাম বোড,দাবা,লুডুসহ খেলার সামগ্রী বিতরন করেন উপজেলা কনফারেন্স রুমে ইউএনও শারমিন আক্তার ,উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুনের উপস্থিতিতে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন।

এ বিষয়ে একাধিক সংগীত শিক্ষক ও আবৃতি শিক্ষক জানিয়েছেন যে সব বাদ্য যন্ত্র কিশোর কিশোরী ক্লাবকে দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই নিন্মমানের যা মাস খানেক ব্যাবহারের পরে সেগুলো ব্যাবহারের অন-উপযোগী হয়ে পড়বে। তারা আরো বলেন যে মানের বাদ্য যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে তা মার্কেটে ৪-৫ হাজার টাকার মধ্যে ক্রয় করা সম্ভব। ক্লাব প্রতি এসব বাদ্য যন্ত্র ক্রয়ের জন্য সরকারী বরাদ্ধ যেখানে ১৩ হাজার টাকা সেখানে ৫ হাজার টাকার মানের বাদ্য যন্ত্র ক্রয়করে বরাদ্ধের অর্ধেকেরও বেশী যাহা প্রায় ১ লক্ষ ১২হাজার টাকা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আত্নসাৎ করে সরকারের এই মহৎ উদ্যোগের প্রকল্পে ছাই ঢালছে বলে মনে করেন ক্লাব সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।

কিশোর কিশোরী ক্লাবের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নাস্তার অনিয়মের ব্যাপারে অনেক শিক্ষক জানান, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতিঃ)জান্নাতুল ফেরদৌস এর বদলি জনিত কারনে এই উপজেলায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন মর্জিনা খাতুন।

প্রকল্পের অধীনে ক্লাবগুলো শুরুর পর থেকে আগের কর্মকর্তা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলেও বর্তমান কর্মকর্তা সহযোগিতা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে নানাভাবে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করে আসছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের ক্লাবের ৩০ জন শিক্ষার্থীর ৩০ টাকা হারে ১৪টি ক্লাবের ১২ কার্য দিবসে নাস্তা বাবদ এক লাখ ৫১ হাজার ২০০ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা জন প্রতি ১০-১২ টাকা হারে নাস্তা দিয়েছে। মাথাপিচু ১৮ টাকা হারে প্রায় ৯০ হাজার ৭শত ২০ টাকা প্রদান না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুরে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন বলেন কিশোর কিশোরী ক্লাবের বাদ্য যন্ত্র ক্রয়ের জন্য সরকারী বরাদ্ধের ১৩ হাজার টাকায় কেনা সম্ভব না হওয়ায় আমরা তার সাথে আরো ২ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়ে মোট ১৫হাজার টাকা করে বাদ্য যন্ত্র ক্রয় করি। চেষ্টা করেছি ভালোমানের বাদ্য যন্ত্র ক্রয় করার ।

দৌলতপুরের ইউএনও শারমিন আক্তারের কাছে ক্লাবের বাদ্য যন্ত্র ক্রয়ে দূর্নিতীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিজে ক্রয় করেছে বাদ্য যন্ত্র ক্রয়ে যদি কোন গড়মিল থেকে থাকে তার সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।