ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১ , আজকের সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

বাবার সম্পত্তির ভাগ চাইতে গেলে ভাইয়ের হাতে রক্তাক্ত জখম বোন

মোঃ বেল্লাল হোসেন: পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ভাইয়ের কাছে জামি চাইতে গেলে রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হতে হয় বোন জাকিয়া ও হাওয়া বিবিকে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আবদুর জব্বার মিয়ার ৩ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তার রেখে যান।
দীর্ঘ দিন পর্যন্ত বোন মোসাঃ জাকিয়া বেগম (৪০) ও হাওয়া বেগম( ৪৫) তাদের তিন ভাইর কছে তাদের পৈত্রিক প্রাপ্য অংশে জমি দাবি করে আসছে।

পিতার প্রাপ্য অংশ পেতে বোন জাকিয়া ও হাওয়া বেগম একাধিক বার থানায় অভিযোগ করলেও ভাই মোস্তফা গাজী, রুহুল গাজী ও আলম গাজী থানায় শালিস ব্যবস্থা মেনে আসলেও পরে শালিসদের বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে আর মিমাংসা হয়না এ ভাবে চলে বছরের পর বছর। জাকিয়া ও হাওয়া বেগমের স¦ামীর বাড়ি বহরমপুর থাকেন।

তিন ভাই পৈত্রিক প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে আমাদের বঞ্চিত করে নিজেরা আতœসাধ করার জন্য দীর্ঘ দিন দিবো বলে ঘুরায়। জাকিয়া ও হাওয়া বেগম জানান , আজ শনিবার বিকেলে আমদের পৈত্রিক প্রাপ্য জমিতে ঘর নির্মান করি। আমার ভাই মোঃ মোস্তফা গাজী, রুহুল গাজী ও আলম গাজীসহ ১১-১২ জন সন্ধ্যা ৭ টার সময় আমাদের ঘরের চাল ও বেড়া ভেঙ্গে লুট করে
নিয়া যায়।

আমি শুনে ঘটনা স্থলে গেলে আমার ভাই মোস্তফা গাজীর হুকুমে তার
ছেলে রাসেল, ইমরান ও রিয়াদ আমাদের পিটাইয়া , কোপাইয়া রক্তাক্ত জখম করে। মোস্তফা গাজী বলে ওদের কিসের জমি দিবো কোপাইয়া মরেফেল থানা পুলিশ আমি বুজবো। জাকিয়া বেগম বলেন, থানা থেকে শালিস মানিয়া দিলে মোস্তফা গাজি শালিসিদের ঘুষ খাওয়াইয়া ঘুরায়।

আমার দুই বোনের জমি না দেয়ার জন্য আমার ভাই মোস্তফা গাজী আমাদের বরাবার মেরেফেলার জন্য চেষ্টা করেন বলে জানান হাওয়া বিবি।
মোস্তফা গাজী বলেন, বাবার আমরা ৩ ভাই দুই বোন। বোনেরা জামি পাবে
শালিসি শেষ হলে তার পর। ওরা কেন ঘর তুললো। আমি কিংবা আমার ছেলে মারিনি তাদের।

আমাদের ওরা মারছে। ওদের জমি আমি ভোগ করিনা । শালিসিদের সাথে
আমার কোন যোগাযোগ নাই। মোসাঃ জাকিয়া ও মোসাঃ হাওয়া বেগম অঞ্জান হয়ে পরলে স্থানীয়রা দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ অনিক মিত্রর চিকিৎসাধীন আছেন তবে তিনি বলেন জাকিয়ার মাথায় কোপের আঘাত আছে বর্তমানে নিবির পর্যবেক্ষনে আছে, অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে প্রেরন করার হবে।