দশমিনায় মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত থানায় মামলা।
মোঃ বেল্লাল হোসেন: পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় বহরমপুর ইউনিয়নে ৭ম শ্রেনীর মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় থানায় মামলার । স্থাণীয় ও থানা সূত্রে জান যায়, গত ফেব্রয়ারী মাসে বহরমপুর ইউনিয়নের মাদ্রাসা পড়ুয়া ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী তাহিরা আক্তার(১৩) কে একই গ্রামের প্রতিবেশি মোঃইয়ার উদ্দিন(৩৭) বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক দর্শন করে।
এই কথা কাউকে যেন না বলে এই জন্য বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখায় । এ ভাবে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে তাহিরাকে। তাহিরা ধর্ষণনের ফলে গর্ভধারন করে। তাহিরা গর্ভধারনের বিষয় ইয়ার উদ্দিন কে ২০ আগস্ট শুক্রবার জানাইলে ইয়ার উদ্দিন ২১ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিঃ সময়
গর্ভপাতের ট্যাবলেট এনে তাহিরার হাতে দিয়ে বলে এই ট্যাবলেট খাও জ্বর ভালো হয়ে যাবে।
ঔষধ খাবার পর তাহিরা অসুস্থ্য হয়ে পরলে মা, পিতা ও আত্নীয় স্বজন সকাল ১১টার সময় দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্তি করেন বিকেল ৪.৩০ মিঃ এর সময় তাহিরার গর্ভপাত হয়। এ খবর জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়রা ইয়ার উদ্দিনকে বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটক করে রাখে । পরে দশমিনা থানা পুলিশ ইয়ার উদ্দিনকে থানায় নিয়ে আসে।
উপজেলা বহরমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এর সেলিম হাওলাদারের ছেলে মোঃ ইয়ার উদ্দিন । ভূক্তভোগির বাবা মোঃ আঃ রহমান চৌকিদার বলেন, আমি গরিব মানুষ পেটের তাগিদে ঢাকায় থাকিয়া দিন মজুরের কাজ করি
আমার স্ত্রী বাড়িতে,বাড়িতে কাজ করে সেই সুযোগে আমার মেয়েকে ঘরে
একলা পেয়ে ইয়ার উদ্দিন বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে গর্ভবতী ও পরে গর্ভপাত করায়।
উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃনূর ই আবেদীন সিফাত বলেন গর্ভপাত হয়েছে ফুল না পরায় তাহিরা খুবই অসুস্থ । থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম বলেন, মোঃ আঃ রহমান চৌকিদারের লিখিত এজাহার পেয়েছি। দর্শন ও নারী নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩এর
৯/১ এবং দন্ড বিধি ৪২০,৩১৩ ধারায় মামলা হয়েছে আসামীকে দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আশিকুর রহমান আসামী মোঃ ইয়ার উদ্দিনকে জেল হাজতে প্রেরন করেন।