বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আকলিমা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূকে সুকৌশলে ডেকে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সোমবার (৩০ শে আগস্ট ) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বাউসা ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগী গৃহবধূ বাদি হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে সোমবার (৩০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের মৃত: নাসির উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান ( ৪০ ) এর সঙ্গে এক বছর পুর্বে আকলিমার বিবাহ হয়। বিয়ের পরে আকলিমা জানতে পারে, তার স্বামী মাদকাসক্ত। তাই বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে মাদকমুক্ত করতে আকলিমা আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
এ নিয়ে স্বামীর বড়ভাই ( ভাসুর) জাহিদুল ইসলামের সঙ্গেও বিভিন্ন আলাপ আলোচনা করেন, কিভাবে স্বামী হাফিজুর কে মাদকমুক্ত করা যায়। সর্বশেষ গত সোমবার (৩০ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাহিদুল (ভাসুর) আকলিমাকে বলে, তোমার স্বামীকে ভালো করতে হলে ইউপি কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দিতে হবে।
সে কৌশলে আকলিমাকে বাউসা ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক আকলিমার নিকট থেকে তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ সময় আকলিমা তার বড় ভাইকে বিষয়টি মুঠোফোনে জানানোর চেষ্টা করলে তার নিকট থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় আকলিমা বাদি হয়ে ভাসুর জাহিদুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, হাকিম আলী, ও কাজী লায়েব উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে একই দিনে বাঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আকলিমার ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, তারা জোরপূর্বক বোনকে দিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করে নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত কর্মকান্ড খুবই দুঃখজনক। জাহিদ ভাই একজন নেতা মানুষ। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গ্রাম-শালিসে জান তার এমন কাজটি করা খুবি দুঃখজনক। আমরা এর সু-বিচার চাই।
অভিযুক্ত জাহিদ বলেন, আমি এমন কাজের সাথে সম্পৃক্ত নই। ঘটনার সময় অন্য একটা শালিসে ইউপি কার্যালয়ের বারান্দায় ছিলাম।
এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জাহিদ করেছে। সেই ভালো বলতে পারবে। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।