ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় নিখোঁজ হবার ৬দিন পর ইস্রাফিল হোসেন (৩৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে যশোর ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম। এঘটনায় হত্যার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে ইস্রাফিলের লাশ উত্তোলন করা হয়।
বুধবার দুপুরে ডিবি পুলিশ নাভারণ সার্কেল এএসপি এবং শার্শা থানা পুলিশের সম্বন্নয়ে লাশ উদ্ধার করে। ইস্রাফিল হোসেন ওই গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। ঘটনা তদন্ত অনুসারে জানা যায়, গত ২৭ আগষ্ট রাতে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইস্রাফিল। রাতে বাড়িতে আসতে দেরি হওয়ায় তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করলে বন্ধ পায় পরিবারের সদস্যরা।
এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও ইস্রাফিলের কোন সন্ধান না পাওয়ায় গত ২৯ আগষ্ট স্ত্রী রোজিনা খাতুন শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শার্শা থানা পুলিশ বিষয়টি অতিদ্রুত ডিবিতে পাঠিয়ে দিলে ডিবি পুলিশের অনুসন্ধানি টিম তিন দিনের মধ্যেই ইস্রাফিলের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, শার্শা থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির পরিপেক্ষিতে আমার টিম নিয়ে তদন্ত শুরু করি এবং ইস্রাফিলকে হত্যাকারী হিসাবে নুর মোহাম্মদ নামে একজনকে আটক করি।
এবং তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অন্য দুই সহযোগীকেও আটক করা সহ কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মল্লেপাড়া নামক একটি জঙ্গলের কবরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। আটক হওয়া আসামীরা হলো, ০১। মর্জিনা খাতুন (৩৫), স্বামী ইসমাইল হোসেন, ০২। মোশারেফ হোসেন (৪৫) পিতা- আহম্মদ তরফদার, ০৩। আলম হোসেন (৪০) পিতা- নুর মোহাম্মদ। উভয়ের বাড়ি কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে।
নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, ডিবির অনুসন্ধানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনা উদঘাটন করতে পেরেছি তাও আবার খুবই অল্প সময়ে। লাশ উত্তোলন করে যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং হত্যার সাথে জড়িত তিন জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যার মুল কারণ আসামীদেরকে বাকী জিজ্ঞেসাবাদের পরে জানা যাবে।