ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ভাতাভোগীদের কাছ থেকে সময় নিলেন জেলা সমাজসেবা কর্মরত রোকছানা পারভিন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ১৫ দিন সময় নিলেন জেলা সমাজসেবা কর্মরত রোকছানা পারভিন


ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিধবা বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতাভুগীদের সমস্যা সমাধানে সুবিধাবঞ্চিত ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ১৫ দিন সময় নিলেন, কুাষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মরত উপ পরিচালক (ডি ডি) মোছাঃ রোকছানা পারভিন।

(৮ সেপ্টেম্বর-২০২১) বুধবার দুপুরে সকল ভাতাভোগীদের সাথে কথা বলে এ সময় নেন তিনি। তিনি জানান, দৌলতপুর উপজেলায় একটি বৃহত্তম উপজেলা যেখানে প্রায় ৩২ হাজার লোক এই প্রতিবন্ধী বিধবা ও বয়স্ক ভাতার আওতায় আছে। ভাতার টাকা যেন সহজেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং এর নগদের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট নাম্বারে সেই টাকা ভাতাভোগীদের কাছে পৌঁছানোর কথা।

কিন্তু কিছু ত্রুটির কারণে সেই টাকা ভাতাভুগীদের কাছে না যাওয়াটা দুঃখজনক ব্যাপার। দৌলতপুর উপজেলায় এ ধরনের সমস্যা প্রায় ৫৩৬ জন ভাতাভোগীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে যেটা একদিনে সমাধান করা সম্ভব না।

তাই দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে একটি সমাধান আনার চেষ্টা করছি আমরা। এর আগে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পুরাতন আমদহ গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের বিধবা বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিরা এক বছর যাবৎ ভাতার টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান, সমাজ সেবা অফিসার ও থানায়সহ নানা স্থানে ঘুরে কোন পথ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে গতকাল গর্ভবতী মহিলাসহ সমাজ সেবা অফিসে অনশন করে।

সকাল নয়টা থেকে শুরু করে, যতক্ষণ সমাধান না দেবে ততক্ষণ অনশন করবে বলে জানিয়েছিলো ভুক্তভোগীরা। তাদের ভাষ্যমতে বিধবা বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা গত বছর ডিসেম্বর মাসে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর/২০২০ পর্যন্ত ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে পেয়েছে।

তার পর তারা জানতে পারে মোবাইলে ম্যাসেজ আসলে টাকা পাবে। কিন্তু এ ম্যাসেজ এক বছর হতে চললেও আর আসেনা। এ নিয়ে চরম হতাশায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে ভাতা ভোগীরা। এর মধ্যে সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে জানতে পারে তাদের কার্ডের টাকা বিভিন্ন মোবাইলে চলে গেছে, এ ব্যাপারে সমাজ সেবা অফিস থেকে ভুল নম্বর গুলি তাদরে লিখে দিয়েছে।

ঐ নম্বরে যোগাযোগ করে বন্ধ পায়, কিছু কিছু নম্বর চালু থাকলেও টাকা তো দুরের কথা তারা সঠিক ঠিকানা দিয় নি। এ ব্যাপারে পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ লালু বলেন, এই টাকা গুলি সমাজ সেবা অফিসের মাঠ পর্যায়ের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজোশে আত্মসাৎ হয়েছে, তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে গরীব অসহায় মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, সঠিক তদন্ত হউক, কে এর জন্য দায়ী।

আমাদের চেয়ারম্যান বা মেম্বর যদি জড়িত থাকে তাদের আইনের আওতায় আনা হউক। পরে রাত ১০.৩১ মিনিটে ইউ.এন.ও শারমিন আক্তার ভাতাভুগীদের সাথে দুই দফা কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাদের বাড়িতে যেতে বলে, এবং নাস্তা কারার মাধ্য দিয়ে অনশন স্থগিত করে অনশন কারিরা।