ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

নবগঠিত উপজেলা আওয়ামিলীগ সহ-সভাপতি বাবলুর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

নবগঠিত উপজেলা আওয়ামিলীগ সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ বাবলুর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল


ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ বাবলু এক জন প্রভাবশালী নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ, দৌলতপুর উপজেলা শাখার নবগঠিত সহ-সভাপতি। রিফাইতপুর ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামের জমিদার পরিবারের ছেলে বাবলু (৬৫) একটি কক্ষে ১৭-১৮ বছর বয়সী এক মেয়ের সাথে যৌনলীলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

হঠাৎ প্রভাবশালী নেতা বাবলুর আপত্তিকর ও অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে আপত্তিকর ও অশ্লীল এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দৌলতপুরে নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

ওই কক্ষের জানালা দিয়ে কেউ আওয়ামী লীগ নেতার আপত্তিকর ও অশ্লীল কর্মকান্ডের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। অশ্লীল কর্মকান্ডের ভিডিও নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়।

ঝাউদিয়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আব্দুর রশীদ বাবলুর চারিত্রিক টুটি আগে থেকেই আছে। এ আর নতুন কি? এরা আবার জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সেবক বলে দাবি করে। যার কাছে একটি মেয়ে নিরাপদ না তারা আবার জনগণের সেবক হয় কিভাবে তা ভেবে পাইনা।

এবিষয়ে রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমিও আপত্তিকর ও অশ্লীল ভিডিওটি দেখেছি। দেখার পর থেকে আমি নিজেই লজ্বিত হয়েছি। তার মত (আব্দুর রশীদ বাবলু) একজন দায়িত্বশীল প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়াম্যানের কাছ জনগণ এটা প্রত্যাশা করেনা, আমিও করিনা। অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিওটি দেখার পর থেকে আমি চরম ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শরীফ উদ্দিন রিমন  এর সঙ্গে মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে জানতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশীদ বাবলু”র সাথে মোবাইলফোনে কথাবললে তিনি জানান, আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে ফাঁসানো হয়েছে, আমার জেলা শহরে একটি বাসা আছে, সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ এক ভাড়াটিয়া আমার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। ২৭ মাসের ঘর ভাড়া পেতাম আমি ঐ ভাড়াটিয়ার কাছে। দীর্ঘদিনের ঘরভাড়া চাইলে ভাড়াটিয়ার ছোটবোনের সাথে অশ্লীল কর্মকান্ডে আমাকে বাধ্য করায়।

আরও উল্লেখ্য যে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশীদ বাবলু বলেন গত চার মাস আগে আমার বাসা ছেড়ে দেয়ার কথা বললে তখোন আমার সাথে এই সড়যন্ত্র করেন বলে জানান এই নেতা। মঙ্গলবার রাতে আপত্তিকর ও অশ্লীল এ ভাইরাল হওয়া ভিডিওটা কি চার মাস আগের? জনমনে প্রশ্ন! তবে দৌলতপুরের ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবি লম্পট এ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রশাসনিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।