মোঃ বেল্লাল হোসেন: পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার ২নং আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃজাহিদুল ইসলাম ও তথ্যসেবা কেন্দ্রের দায়িত্বরত মোঃ জহিরের বিরুদ্ধে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে জন্ম সনদ প্রদানে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ জম্ম সনদ প্রতি আবেদনে ১শ টাকা ও সনদপত্র ৩শত টাকা আদায় করে নিচ্ছেন সচিব ও তথ্য সেবক।
সরেজমিনে গেলে ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মো. শহিদুল ফকিরের স্ত্রী মোসাঃ পারভিন অভিযোগ করে বলেন, আমি চারটি জন্ম সনদের জন্য আবেদন করলে তথ্য সেবা কেন্দ্রের জহির প্রতিটি আবেদনে ১শ টাকা করে মোট ৪শ টাকা রাখে পরে জন্ম সনদ আনতে গেলে ইউপি সচিব মোঃ জাহিদুল ইসলাম প্রত্যেকটি জন্ম সনদের জন্য ৩শ টাকা করে মোট ১২শ টাকা নিয়েছেন।
এক হাতে টাকা এক হাতে জন্ম সনদ দেন তিনি একই ওয়ার্ডের বিধবা হাসিনা বেগম , ৩নং ওয়ার্ডের শাহনাজ পারভিন বলেন, আমি জন্ম সনদের জন্য আবেদন করেছি আবেদনে ৫০ টাকা এবং জন্ম সনদের জন্য সচিবকে ২শত টাকা দিয়েছি। আগের সচিব ২শত৫০টাকা নিত এখন সচিব ২শত টাকা নিয়েছে। ৬নং ওয়ার্ডের মো. সাইদুলের স্ত্রী নাছিমা এ প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করে বলেন, জন্ম সনদ এর জন্য আবেদনে জহিরকে ১শত টাকা এবং জন্ম সনদ পেতে সচিবকে ২শত টাকা দিয়েছি।
এত টাকা কেন নেয় জানিনা শুুনছি জন্ম সনদ করাইলে ২৫টাকা লাগে।অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ইউপি সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি যোগদানের পর জন্ম সনদে সরকার নির্ধারিত বয়স অনুসারে টাকা রাখি। ভুক্তভোগি শাহনাজ পারভিন সামনা সামনি বলেন আমি সচিবকে জন্ম সনদের জন্য ২শত টাকা দিয়েছি তখন সচিব বলেন, বয়স ও সংশোধনীর জন্য ১শত টাকা রাখি চেয়ারম্যান সাহেব টাকা রাখতে বলেছেন আমাদের সাইবারে কাজ করেনা জন্ম সনদের জন্য বাহিরে গিয়ে প্রিন্ট করতে হয় তাই ২শত ও ৩শত টাকা রখি।
আবেদনের জন্য জহিরকে ৫০ টাকা করে রাখতে বলেছি। তিনি ১শত টাকা করে রাখেন তা জানিনা। তথ্য সেবা কেন্দ্রের জহির বলেন, আমি আবেদনে খরচ বাবদ ৫০ টাকা করে রাখি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ২নং আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান (সাগর) এর কাছে ফোন দিলে প্রতিনিধির পরিচয় দিলে ফোন কেটে দেন। বারবার চেস্টা করার পরও ফোন রিসিভ করেননি।