ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রাজশাহীর বিএনপি’র শীর্ষ তিন নেতার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন বহাল

রাজশাহী ব্যুরোচীফঃ রাজশাহীর বিএনপি’র তিন শীর্ষ নেতা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে রোববার আবারও আত্মসমর্পণ করেন। এসময়ে আসামী পক্ষে অন্তত অর্ধশত আইনজীবি দাঁড়ান এবং জামিন আবেদন করেন। সরকারী পক্ষের আইনজীবিসহ বাদী পক্ষের আইনজীবিগণ এর বিরোধিতা করেন।

এই নিয়ে এক ঘণ্টার বেশী সময় ধরে উভয় পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে যুক্তিতর্ক চলে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও.এইচ.এম ইলিয়াস হোসাইন ৩০ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখ পরাবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেন এবং এই দিন পর্যন্ত জামিন বহাল রাখেন। বিষয়টি অত্র মামলার আসামী পক্ষের এ্যাডভোকেট আলী আশরাফ মাসুুম নিশ্চিত করেন।

আজ বোরবার দুপুর ১২ দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন আদালতে আবারও আত্মসর্মপন করেন।

কিন্তু সে সময়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি উপস্থিত না থাকায় শুনানী দেড় ঘণ্টা পিছেয়ে দুপুর ১.৩০টায় শুরু হয়। এ সময়ে আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেল বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মাসুদ, মাহনগর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, বোয়লিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল।

আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য নজরুল ইসলাম, গোলাম মস্তোফা মামুন, তোয়ায়েল হোসেন রাজু, রায়হানুল ইসলাম রায়হান, মিজানুর রহমান মিজান, সদর আলী, শাহজাহান আলী ও মকবুল হোসেন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, মতিহান থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আল আমিন সরকার টিটু ও সদস্য সচিব নাজমুল হক।

এছাড়াও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভভভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কামাল আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, জেলা যুবদলেল রিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, জেলা যুবদলেল সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রহমান ভুট্টো, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হেসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার মন্ডল, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সামসাদ বেগম মিতালী, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক সামসুন্নাহার, জান্নাতুল ফেরদৌস, তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল হক বনি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, রাবি ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ রাহি, মহানগর ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুমসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃকর্মী।

উল্লেখ্য গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ তাঁদের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের নিকট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। জেলা প্রশাসক অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠান।

গত ১৬ই মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মামলাটি অনুমোদন হয়ে আসে। এরপর ৩১ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এই মামলায় গত ২৬ আগষ্ট উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিননে ছিলেন এই শীর্ষ বিএনপি তিন নেতা।