মোঃবেল্লাল হোসেন দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঘোষিত দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটিতে, শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান পুত্র, ফ্রিডম পার্টি ,সম্পাদকিয় পদে টাকার
বানিজ্য এবং বিএনপি জামায়াত এর মানুষ দিয়ে গঠন করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার দশমিনা বাজারস্ত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি এম, এ বাশার ডাবলু। লিখিত বক্তব্য তিনি আরো বলেন, সদ্য ঘোষিত উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে ত্যাগি ও পরিক্ষিত ১৯ নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে যারা ৩০/৪০ বছর দশমিনায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন।
লিখিত বক্তব্য এম এ বাশার ডাবলু বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ যাচাই বাছাই করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যে কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলায় পাঠিয়েছে সেখান থেকে ১৯ জনকে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুন করে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান পুত্র সহ বিএনপি জামাত দলের ১৯ জনকে নতুন করে অন্তর্ভূক্ত করে দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের চুড়ান্ত কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন এবং সাধারন সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান অবৈধ অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে সম্মেলনের প্রায় দুই বছর পর দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন যা দলীয় গঠনতন্ত্রের বিরোধী।
অবিলম্বে বিএনপি,জামাত শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান পুত্রকে ওই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে এম,এ বাশার ডাবলুর অনুসারী ছাত্রলীগ যুবলীগের অর্ধ শতাধিক কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে জানতে বহুবার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেন নি।
এব্যপারে দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আজীজ মিয়া বলেন, জেলায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সমন্বয়ে পাঠানো প্রস্তাবিত কমিটি থেকে ১৯ জন বাদ পরেছেন স্বীকার করে তিনি এবিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটন বলেন আমাদের পাঠানো পূর্নাঙ্গ কমিটি থেকে অনেকেই বাদ পরেছেন এছাড়া আর কিছু বলতে পারব না বলে জানান তিনি।