মাজহারুল ইসলাম চপল, ব্যুরোচীফঃ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) এর ৯ নং ওয়ার্ড উপনির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিশাল (২১৭২ ভোট) ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ (বোয়ালিয়া পশ্চিম) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রাসেল জামান।
৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন শেষে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে রাসেল জামান ৩৭১৯, ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে একেএম রাসেদুল হক টুলু ১৫৫১, রেডিও প্রতীক নিয়ে শামিমুর রহমার রিডার ৯১১, করাত প্রতীক নিয়ে সাইফুল্লাহ শান্ত ৪৭ এবং সোয়েব হাসান বাবু ৩৬ ভোট পেয়েছেন।
এবিষয়ে দ্বায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার আহম্মেদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যথা সময়ে অর্থাৎ সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৪ টায় শেষ হয়েছে এবং ৭০ শতাংশ ভোট গ্রহন হয়েছে। এই ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রেই সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ( ইভিএম) এ ভোটারদের ভোট দিতে কোন ধরনের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটার বিনা সমস্যাই সাচ্ছন্দে ভোট দিয়েছে। কারন সরকার ইভিএম নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা করেছে। তাই সকলেই ইভিএম সম্পর্কে সচেতন ছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ জুলাই মাসে তিন বারের সফল কাউন্সিলর বীর মুক্তিযুদ্ধা রেজাউন নবী দুদুর মৃত্যুর পর পদটি শূন্য হয়। সেই শূন্য পদে উপনির্বাচনের ঘোষনার পর থেকে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে আত্নপ্রকাশ করে নগরীর দরগাপাড়ার মৃত ওমর আলীর ছেলে রাসেল জামান।
রাসেল জামান জেলা ক্রিয়া সংস্থার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি মহানগর আওয়ামী লীগ (বোয়ালিয়া পশ্চিম) এর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।
দীর্ঘদিন থেকে সামাজের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে অতোপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন এবং চলামান করোনা বিপর্যয়ে গরীব অসহায় মানুষদের আর্থিক ও চাল ডাল তেল দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। তবে নির্বাচনের ঘোষনার পর থেকে রাসেল জামান সহ তার সমর্থকরা রাতদিন নির্ঘুম পরিশ্রম করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, রাসেল জামানকে ভালবেসে তার জন্য মহিলা ভোটাররা বিজয়ের জন্য রোযা রেখেছিলেন। অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরম আল্লাহর নিকট রোযা কামনার ফলশ্রুতিতে আজকের এই বড় ব্যবধানের জয় হয়েছে। পরে বিজয়ী রাসেল জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জনগণ আমাকে ভালবেসে জয়লাভ করিয়েছে, এর জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।
জনগণ আমার জন্য করেছে, এখন আমার পালা। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন এই ওয়ার্ডবাসির সেবা করতে পারি এবং আমার দেয়া জনগণের নিকট যে প্রতিশ্রুতি, তা রক্ষা করতে পারি।