রাজশাহী, ব্যুরোচীফঃ কুমিল্লায় পুজামন্ডপে “পবিত্র কুরআন শরীফ” রাখা হয়েছে এমন তথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল ও শারদীয় দুর্গাপুজাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে জামায়াত – বিএনপি’র সরাসরি ইন্ধন ও হাত রয়েছে। এমন মন্তব্য করে সবাইকে সতর্ক করেছে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ।
গত ১১ অক্টোবর ( সোমবার) ষষ্ঠি পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। এই পুজা উপলক্ষে ১৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাত ৮.০০ টায় নগরীর ঘোষপাড়াস্থ মিলন মন্দির পরিদর্শনে যান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, বোয়ালিয়া জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন, নগরপিতার জেষ্ঠ্য কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডাঃ আনিকা ফারিয়া জামান অর্না, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ ছাত্রলীগের অন্যান নেতৃবৃন্দ।
এসময় নগরপিতা জেষ্ঠ্য কন্যা ডাঃ আনিকা ফারিয়া জামান অর্না বলেন, বাংলাদেশকে অসাম্পদায়িক দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করেছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শিত সোনার বাংলায় কেউ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করবে তা হতে পারেনা।
আমাদের সকলের শ্লোগান হবে “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”। আমাদের পবিত্র ঈদে যেমন হিন্দুরা আনন্দ করে তেমন আমরাও তাদের উৎসবে সক্রিয় সহযোগিতা করবো। তাই সকলকে বলবো কেউ কোন গুজবে কান দিবেন না।
পরে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, সদ্য ঘটে যাওয়া কুমিল্লার ঘটনায় সরাসরি জামায়াত-বিএনপি’র হাত রয়েছে। তারা চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারন তারা চায়না দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। তাই সবাইকে খুব সতর্ক থাকতে হবে যেন, কোন অপশক্তি দেশে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে। আমার জামায়াত বিএনপির কোন ফাঁদে পাঁ দিব না।
পরিশেষে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীও উদাহরন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে দেবী মা দুর্গা পরম ভক্তিময়। তাঁর এক রূপ অসুরবিনাশী, আরেক রূপ মমতাময়ী মা। তিনি অশুভর প্রতীক অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন।
আমাদের বিশ্বাস, ঠিক সেভাবেই অন্যায়-অশুভর বিপরীতে ন্যায় ও শুভশক্তির জয় হবে। তিনি কেবল সৌন্দর্য, মমতা, সৃজনের আধারই নন। অসহায় ও নিপীড়িতের আশ্রয় দানকারী বলেও গণ্য। তিনি আরও বলেন, আমি এই দুর্গাপুজা উপলক্ষে নগরীর প্রায় প্রতিটি মন্দির ও হিন্দু গোষ্ঠিদের মাঝে বিভিন্ন উপহার দিয়েছি। তাই সকলে দোয়া সহযোগিতা করবেন যেন আগামীতেও অসহায়দের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে পারি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কল্যান কুমার জয়, মিলন মন্দিরের সভাপতি প্রদিব ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শুভ ঘোষ, রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি৷ ইয়াসির ইশফাক ইপু, ডিগ্রী কলেজের সহ সভাপতি সুকান্ত দাস, সাধারণ সম্পাদক বায়তুল হোসেন তরুন সহ অন্যান নেতৃবৃন্দ।