ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
কুষ্টিয়ায় শীতার্ত দুঃস্থদের মাঝে বিজিবির কম্বল বিতরণ যশোরে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ ২’অভিযানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আরও ৫ নেতাকর্মী আটক  যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বার্মিজ চাকুসহ যুবক আটক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়ে ছিলো, ১৬ ডিসেম্বর তার চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে ছিলাম….ফজলুল হক মিলন যশোরে মহান বিজয় দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত নওগাঁয় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা যশোরের ছাত্রনেতার হাত ধরে ৩০ টি পরিবার পানিবন্দি থেকে মুক্তি পেল। লালপুরে জামায়াতের বিজয় র‍্যালি- স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কাভার্ড ভ্যানের চাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী ওসি ও এএসআইয়ের যশোরে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

দৌলতপুরে প্রসূতির মৃত্যু মামলায় ডাক্তার টি.এ.কামালীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ

ডাক্তার টি.এ.কামালী

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে বিশ্বাস ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু মামলায় ডাক্তার টি.এ.কামালীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জানাগেছে গত ৯ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় ও ডাক্তার টি.এ.কামাল এর ভুল চিকিৎসায় ও.টি.তেই রমনী খাতুন (১৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ওসি তদন্ত শাহদৎ হোসেন জানান, উপজেলার আল্লারদর্গা বিশ্বাস ক্লিনিকে ওই প্রসূতির মর্মান্তিক মৃত্যু হলে, ঐ দিন তার ভাই হাসিবুল দৌলতপুর থানায় ৫ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে, মামলা নং ১৭। এই মামলার প্রধান আসামী ডাক্তার টি.এ. কামাল কে দৌলতপুর পুলিশ গত বুধবার রাতে ভেড়ামারা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। জানাগেছে তার বিরুদ্ধে রমনী খাতুন, আল্লারদর্গা হিন্দু পাড়ার রমা রায় সহ এক ডজন প্রসূতী মা ও নবজাত শিশুর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রমাণ রয়েছে।

ঘটনার সূত্র থেকে জানাগেছে রমনী খাতুন উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের মো. বাচ্চু আলীর স্ত্রী রমনী খাতুন প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আল্লারদর্গা বিশ্বাস ক্লিনিকে ভর্তি হ’ন। ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ সিজার অপারেশন করে সন্তান প্রসব করাবেন বলে ওই প্রসূতিকে ভর্তি করেন। রাত থেকে রবিববার সকাল পর্যন্ত প্রসূতি প্রসব যন্ত্রনায় কাতর ও ছটফট করলেও ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ ডাক্তার এনে অপারেশন করাতে ব্যর্থ হয়।

একপর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফের স্ত্রী কথিত নার্স নার্গিস খাতুন ওই প্রসূতিতে ব্যাথা নাশক ইনজেকশন ও পরে টিএ কামাল এসে অপারেশনের জন্য একটি ইনজেকশন দিলে তৎক্ষনাত প্রসূতির মৃত্যু হয়। এদিকে ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের আত্মীয় স্বজন ক্লিনিকে হামলা চালালে ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী নার্গিস খাতুন এবং ডাক্তার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। একই সাথে দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আজগর আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ওই ক্লিনিক সিল গালা করেছেন।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শীতার্ত দুঃস্থদের মাঝে বিজিবির কম্বল বিতরণ

দৌলতপুরে প্রসূতির মৃত্যু মামলায় ডাক্তার টি.এ.কামালীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ

আপডেট টাইম : ০৭:০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে বিশ্বাস ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু মামলায় ডাক্তার টি.এ.কামালীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জানাগেছে গত ৯ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় ও ডাক্তার টি.এ.কামাল এর ভুল চিকিৎসায় ও.টি.তেই রমনী খাতুন (১৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ওসি তদন্ত শাহদৎ হোসেন জানান, উপজেলার আল্লারদর্গা বিশ্বাস ক্লিনিকে ওই প্রসূতির মর্মান্তিক মৃত্যু হলে, ঐ দিন তার ভাই হাসিবুল দৌলতপুর থানায় ৫ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে, মামলা নং ১৭। এই মামলার প্রধান আসামী ডাক্তার টি.এ. কামাল কে দৌলতপুর পুলিশ গত বুধবার রাতে ভেড়ামারা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। জানাগেছে তার বিরুদ্ধে রমনী খাতুন, আল্লারদর্গা হিন্দু পাড়ার রমা রায় সহ এক ডজন প্রসূতী মা ও নবজাত শিশুর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রমাণ রয়েছে।

ঘটনার সূত্র থেকে জানাগেছে রমনী খাতুন উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের মো. বাচ্চু আলীর স্ত্রী রমনী খাতুন প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আল্লারদর্গা বিশ্বাস ক্লিনিকে ভর্তি হ’ন। ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ সিজার অপারেশন করে সন্তান প্রসব করাবেন বলে ওই প্রসূতিকে ভর্তি করেন। রাত থেকে রবিববার সকাল পর্যন্ত প্রসূতি প্রসব যন্ত্রনায় কাতর ও ছটফট করলেও ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ ডাক্তার এনে অপারেশন করাতে ব্যর্থ হয়।

একপর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফের স্ত্রী কথিত নার্স নার্গিস খাতুন ওই প্রসূতিতে ব্যাথা নাশক ইনজেকশন ও পরে টিএ কামাল এসে অপারেশনের জন্য একটি ইনজেকশন দিলে তৎক্ষনাত প্রসূতির মৃত্যু হয়। এদিকে ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের আত্মীয় স্বজন ক্লিনিকে হামলা চালালে ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী নার্গিস খাতুন এবং ডাক্তার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। একই সাথে দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আজগর আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ওই ক্লিনিক সিল গালা করেছেন।