1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
ইমু হ্যাকারদের উৎপত্তি ও অবস্থানঃ পর্ব ২ - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারায়  কৃষকদের  মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ  রাসায়নিক সার বিতরণ গোদাগাড়ীতে মারামারির পর মাদকের মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে ছাত্রকে মাউশি’র নির্দেশনা উপেক্ষা করে শাহদৌলা সরকারি কলেজে ছুটির মধ‍্যেই উদ্বোধনী ক্লাস না ফিরার দেশে চলে গেলেন মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ধামইরহাট সীমান্তে বিজেপি-বিএসএফের ফ্রেন্ডশিপ মিটিং এবং প্রীতি খেলা অনুষ্ঠিত  রুয়েট কর্মকর্তার প্রাণনাশের হুমকি রাজাকারের শ্যালকের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট এ মিললো অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় , মামার ভাইগনা সনাক্ত দিলরুবা একজন সৎ, সাহসী ও জনপ্রিয় বিচারক ছিলেন : রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ দৌলতপুরে আ.লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

ইমু হ্যাকারদের উৎপত্তি ও অবস্থানঃ পর্ব ২

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ জুন, ২০২১

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ ইমু হ্যাকার চক্রের উৎপত্তি স্থল নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন থেকে। এখন লালপুর ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলাতে চলোমান একটি বড় সমস্যা বা ব্যধিতে রুপ নিয়েছে ইমু হ্যাকার সদস্যরা। প্রবাসীদের ইমো একাউন্টটি ওয়ান টাইমস পিন কোডের মাধ্যমে হ্যাক করে নেই এই হ্যাকার চক্র। তারপর প্রবাসীদের পরিবার, স্বজন, বন্ধু, সহ বিকাশ দোকানদার দের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেই লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা।

অবৈধ টাকার গরমে বেপরোয়া আচরনে প্রতিনিয়ত মাদক সেবনের দিকে ঝুকেপরে হ্যাকার চক্রের সদস্যরা। আর এই মাদক দ্রব্য সংগ্রহ করতে স-দলবলে আসতো বাঘা উপজেলার মাদক খ্যাত স্থান মীরগঞ্জ, আলাই পুর, পাকুড়িয়ায় । মাদক সেবনের পর চায়ের দোকানে চুটিয়ে আড্ডা দিতে থাকে দিনের পর দিন।

আস্তে আস্তে এই এলাকা গুলো ইমু হ্যাকারদের আড্ডার ও আশ্রয় স্থলে পরিনত হয়ে উঠে। অল্প দিনের ব্যবধানে লালপুরের পাশাপাশি ইমু হ্যাকার চক্রের সদস্য /বা হ্যাকিং শিখে ফেলে বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যুবকরা।

তবে গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর, চানপুর-খানপুর, সরেরহাট, খায়েরহাট এলাকায় এই চক্রের সদস্য সব থেকে বেশি। বাঘা পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া, চাকিপাড়া, আহমদপুর, বাজু বাঘা নতুন পাড়া, গাওপাড়া, নারায়নপুর, কলিগ্রাম,চক ছাতারী,বলিহার, নতুন বাস স্ট্যান্ড, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড সহ মশিদপুর।

তাছাড়াও জ্যোতরাঘোপ, চন্ডিপুর, আড়পাড়া,তেপুকরিয়া ,অমরপুর, দিঘা, আড়ানী, মনিগ্রাম, হাবাসপুর, বিনোদপুর, মাহাজন পাড়া ,কিশোরপুর, পাকুরিয়া।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আসতে শুরু করে প্রশাসন বাহিনির কাছে। প্রশাসন হয়ে উঠে তৎপর, শুরু হয় ইমু হ্যাকার দের বিরুদ্ধে অভিযান। বেশ কিছু হ্যাকার আটক হয় প্রশাসনের হাতে। হ্যাকার সদস্যরা পাল্টাই কৌশল, এখন আর প্রকাশ্যে চলাফেরা করে না তারা,এমন কি প্রশাসনের ভয়ে বাড়িতেও পাওয়া যায় না তাদের। চোরের মতন পালিয়ে পালিয়ে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে থাকে তারা।

মাদকের উপরে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেছে সরকার। প্রশাসনের অভিযান মাদক কারবারি দের উপর আরো ভয়াবহ। সবদিক ভেবে নিজেদের নিরাপদ রেখে প্রতারণা কর্ম অব্যাহত রাখতে পাড়ি জমিয়েছে জেলা শহর রাজশাহীতে। আছেন তারা ছাত্র/ চাকরি জীবীদের বেসে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, অধিকাংশ হ্যাকার চাকরি বা পড়াশোনার নামে জেলা শহর রাজশাহীতে আশ্রয় নিয়েছে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে। আসলে সেখানে তারা হ্যাকিং কাজটিই করে থাকে। শহরে অনেক মানুষের ভিড়, প্রশাসনের চোখ ফাকি দেওয়া তাদের জন্য সহজ বলে মনে করেন এলাকার সুধিজনেরা।

এই সকল হ্যাকার চক্রের বিরুদ্ধে লালপুর ও বাঘায় প্রশাসনিক অভিযান চলমান রয়েছে। প্রশাসনের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য বিষয়- সুলতানপুর, নারায়ণপুর, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড, মনিগ্রামের কিছু অসাধু ব্যক্তিদের সাথে সমন্বয় না করলে বা তাদের সুবিধা দিতে না পারলে গুনতে হয় মাশুল। সেই সাথে কিছু বিকাশ সিম বিক্রেতা ও বিকাশ দোকানদার ইমু হ্যাকার চক্রের সাথে যুক্ত আছে বলেও জানাযায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ