মো.আককাস আলী: নওগাঁর সাপাহারে বাক প্রতিবন্দ্বী এক আদিবাসী নারী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় সাপাহার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ মফিজুল হক মফি (৫১) নামের ওই ধর্ষককে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
আটক মফিজুল সাপাহার উপজেলার আইহাই দিঘীপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন এর ছেলে বলে জানা গেছে। থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে উপজেলার শুকরইল আদীবাসী পাড়ার জৈনক নিতাই মোশাহার এর স্ত্রী প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবারে গ্রামের অদুরে রতনডাঙ্গা মাঠে একটি আমবাগানে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়।
এসময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফাঁকা মাঠে একা পেয়ে পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল ওই বোবা মেয়েকে পাটের শাক দেবার ইশারায় কাছে ডাকে। তার ইশারায় আদীবাসী বোবা মেয়েটি সরল বিশ্বাসে তার নিকট এলে সে তাকে একা পেয়ে ঝাঁপটে ধরে একটি ড্রেনে ফেলে দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে পালিয়ে যায়।
ঘটনা চক্রে মেয়েটি বাড়ী ফিরে এসে কিছুক্ষনের মধ্যেই ধর্ষক ওই ব্যক্তি তার বাসার সামনে দিয়ে পার হয়ে যাবার সময় বাক প্রতিবন্দ্বী ওই আদিবাসী নারী তাকে ধরে ফেলে চিৎকার করে ইশারায় তাকে ধর্ষনের কথা গ্রামবাসীকে জানিয়ে দেয়। এর পর ধর্ষক মফিজুল তার ইশারার কথাকে অস্বিকার করে জোরপূর্বক সেখান থেকে চলে যায়।
পরে গত রবিবারে আদিবাসী ধর্ষিতার স্বামী নিতাই মোশাহার ও ধর্ষনের শিকার তার স্ত্রী সাপাহার থানায় এসে ধর্ষক মফিজুলের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করলে সন্ধ্যায় পুলিশ ধর্ষক মফিজুল হক মফিকে আটক করে সোমবার সকালে নওগাঁ জেলহাজতে পাঠায়।
এবিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)তারেকুর রহমান সরকার বলেন যে বোবা মেয়েটির ইশারা অনুযায়ী ওই ব্যক্তিই তাকে ধর্ষন করেছে বল প্রতিয়মান হয়। তাদের দেয়া এজহার মতে ধর্ষক মফিজুল হক মফির বিরুদ্ধে ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে (০৩)৯(১)৩০ধারা রুজু করে মামলা দায়ের হয়েছে।