কাজি মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার :
টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র মোখতার ফোয়ারা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও রাস্তাঘাটে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই সড়কের তিনটি স্থানে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ, সূর্যতরুণ শিক্ষাঙ্গণ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে তিনটি স্থানে সড়কের দুপাশে হাজারখানেক নারী শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সখীপুর পৌরশহরের মোখতার ফোয়ারা থেকে মহানন্দপুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কটি অসংখ্য খানাখন্দকে ভরা। বিশেষ করে মহিলা কলেজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। ওই দেড় কিলোমিটার সড়কে রয়েছে তিনটি কলেজসহ সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একটি মহিলা কলেজ ও একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে দেড় হাজার নারী শিক্ষার্থী ওই সড়ক ব্যবহার করে নিয়মিত চলাচল করে। একদিকে ওই দেড় কিলোমিটার সড়ক যেমন খানাখন্দকে ভরা অন্যদিকে মোড়ে মোড়ে বখাটেদের উৎপাত। এসব থেকে রেহাই পেতে সড়ক সংস্কারসহ রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত বন্ধের দাবিতে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ওই তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টায় সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ ও সূর্যতরুণ শিক্ষাঙ্গণ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রথমে তাঁরা বাগানচালা এলাকায় মানববন্ধন করে। এদিকে একই সময়ে সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পৃথকভাবে উত্তরা মোড়ে এসে মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে সখীপুর পৌরশহরের মোখতার ফোয়ারা চত্বরে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
এসময় সমাবেশে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিক-ই-রাসেল ও বাংলাবিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুহম্মদ আবদুল আলীম বক্তব্য দেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সমাবেশ চলাকালীন সময়ে চারটি সড়কের অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
মহিলা কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সুপ্তি, জেদনি, সুমিসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ভাঙাচোরা ও কাদা-পানি থাকায় এ সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। কাদায় কলেজের সাদা ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়। আমরা দ্রুত এ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, এসড়কটি ভাঙাচোরা তো আছেই আবার প্রতিটি মোড়ে বখাটেদের উৎপাত। স্কুলে যাওয়ার সময় ও ছুটির সময় যাতে ওই সড়কে পুলিশের টহল থাকে এ বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম এ প্রসঙ্গে বলেন, কাল থেকে ওই সড়কে পুলিশের টহল বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। উত্ত্যক্ত বিষয়ে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, সড়কটি আসলেই চলাচলে অযোগ্য। এ বিষয়ে আমি এলজিইডির প্রকৌশলীকে বলেছি। দ্রুতই সড়কটি সংস্কারে ও ওই সড়কে ইভটিজিং বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।