1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বোয়ালমারীতে ভোট না দেওয়ায় রেশন কার্ড বাতিলের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে - dailynewsbangla
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জেলা পুলিশ এর কো-অপারেটিভ সোসাইটি এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত  স্বচ্ছতা,জবাবদিহি ও নাগরিক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য–ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বোয়ালমারীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গাজাঁ ইয়াবা বিদেশি টাকা ছোরাসহ মাদক কারবারি আটক  গরু কেলেঙ্কারি    বোয়ালমারীর সেই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বদলি বোয়ালমারীতে খেক্কর ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষ একজনের মৃত্যু  বাঘায় বিভিন্ন অপরাধে আটক ১৩ জন ভেড়ামারায় পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সভাপতি দাউদ “সাঃসম্পাদক ডাবলু  বোয়ালমারীতে বিআরডিপি নির্বাচনে তৃতীয়বার সভাপতি হলেন নবীর হোসেন চুন্নু লক্ষ্মীপুরে খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ওসি রফিকুল পেলেন টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ পদক

বোয়ালমারীতে ভোট না দেওয়ায় রেশন কার্ড বাতিলের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ভোট না দেওয়ায় উদ্দেশ্যমূলক ও বেআইনি ভাবে এক গ্রামের ৬৩ সুবিধাভোগীর রেশন কার্ড (১৫ টাকার চাউল) বাতিলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার
চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের(১ নম্বর ওয়ার্ড) হাসামদিয়া গ্রামের সাহিদ বিশ্বাস, সঞ্জয় শীল, কুদ্দুস মোল্যা, ফাতেমা বেগম, আয়েশা খাতুন সহ মোট ৬৩ টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা(রেশন কার্ড) ভোগ করে আসছিলেন। উচ্চমূল্যের এই বাজারে ১৫ টাকা কেজী দরে ৩০ কেজী চাউল কিনতে পেরে জীবন যাত্রায় অনেকটাই
স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে আসছিল নিম্ন আয়ের এ পরিবার গুলো। কিন্তু চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হবার পর সম্প্রতি নতুন তালিকা প্রস্তুতের সময় রহস্য জনক ভাবে তাদের কার্ডগুলো বাতিল করে দেন। মাত্র একটি গ্রাম থেকে একই সময়ে একসঙ্গে এতগুলো কার্ড বাতিল হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আলোকে সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে চতুল ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের একটি টিম। তারা সরাসরি ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। ভুক্তভোগী মো. মাসুদ শেখ, সঞ্জয় শীল সহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, আমরা গরীব ও অসহায় মানুষ। সাবেক চেয়ারম্যান সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আমাদের কার্ড করে দিয়েছিলেন। কিন্তু
বর্তমান চেয়ারম্যানকে আমরা ভোট দেইনি এমন সন্দেহ করেই তিনি আমাদের কার্ড বাতিল করে দিয়েছেন। এমনকি কার্ড নবায়নের কথা বলে ট্যাক্সের নামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে আড়াইশো থেকে শুরু করে ৫/৭ শত করে টাকা নেয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের কার্ড বাতিল করা হয়েছে। যা খুবই অমানবিক। কার্ড বাতিল হওয়ায় আমরা এখন চরম দুর্দিনের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এ ব্যাপারে চতুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। কার্ড হারিয়ে অনেকেই এখন দিশেহারা। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জানিয়ে সহায়তা চেয়েছেন। কান্নাকাটি করেছে। কিন্তু কি
করবো আমিতো দ্বায়িত্বে নেই। রেশন কার্ড দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি মানবিক সহায়তা। এ নিয়ে কোন চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করা বা অপরাজনীতি মোটেও কাম্য নয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আর্থিক স্বচ্ছলতা, আইডি কার্ডের সমস্যা, একাধিক সুবিধা ভোগসহ নানা কারনে কার্ড বাতিল হতে পারে। এর পিছনে আমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য বা নোংরা রাজনীতির সুযোগ নেই। কে আমাকে ভোট দিয়েছেন বা দেননি সে হিসাব আমি করি না। আমার কাছে সবাই সমান। আমি আমার ইউনিয়নের সকল জনসাধারণের কল্যানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ভুক্তভোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের অভিযোগের কথা শোনা হয়েছে। এর প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুনবেন। এক কথায় তদন্ত চলমান। যাচাই-বাছাই শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বৃহস্পতিবার বলেন, এখনো কোনো ভুক্তভোগীর কার্ড বাতিল করা হয়নি। কার্ডগুলো যাচাই-বাঁছাই চলছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার, খাদ্য কর্মকর্তাসহ  সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। ইউএনও বলেন, অনেকেই এখন স্বচ্ছল জীবনযাপন করছেন। তাই তাদের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক কারণে কাউকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারটি ঠিক নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ