মোঃবেল্লাল হোসেন দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ নম্বর আসনে (দশমিনা উপজেলা) জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল আজীজ এবং অংগ সংগঠন জেলা পরিষদ সদস্য পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মিজান(টিউবয়েল) এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন ভুট্রো(তালা)প্রতিকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইকবাল হামুদ লিটন ও তার অনুসারীরা। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ মারমুখি অবস্থান নিয়েছেন। ভয়াবহ সংঘাতের আশংকা করছেন স্থানীয় মানুষ। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে দশমিনা উপজেলার মোট ৯৪ জন ভোটার জনপ্রতিনিধি ডিজিটাল পদ্ধতিতে (ইভিএম) তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বেল্লাল হোসেন সরদার বলেন, আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠন গাজী মিজানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাধারন সম্পাদক ভুট্রোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে দলকে দ্বিধাবিভক্ত করে অপূরনীয় ক্ষতি করেছেন এবং সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের হুমকি দামকি দিচ্ছে যা আমরা প্রত্যশা করিনা।
টিউবয়েল প্রতিকের প্রার্থি গাজী মিজান বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ একাংশ এবং সহযোগি সংগঠনের (যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলালীগ, শ্রমিকলীগ,তাঁতীলীত) নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন এবং সাধারন সম্পাদক ইকবাল মাহামুদ লিটনের অনুসারীরা আমার ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। সাধারন সম্পাদক নির্বাচনের আচারবিধ লঙ্গন করছেন।
তালা প্রতিকের প্রার্থি জাকির হোসেন ভুট্রো বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আজীজের নেতৃত্বে ভোটারদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হচ্ছে এবং দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছেন।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল মাহামুদ লিটন বলেন, জাকির হোসেন ভুট্রো দলের ত্যাগী ও সিনিয়র নেতা তাই তার পক্ষে আমরা প্রচারনা চালাচ্ছি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আজীজ মিয়া বলেন, গাজী মিজান দলের ত্যাগি ও পরিক্ষিত ও ভদ্র নেতা তার পক্ষে আওয়ামীলীগ সহ সকল অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, দলীয় কোন নির্দেশনা না থাকায় দলের যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন তবে সদস্য পদে দুই জন আওয়ামীলীগের প্রার্থি হওয়ায় উভয় গ্রুপকে সমঝোতায় বসার অনুরোধ করেছিলাম কেউ আমার কথা শোনেনি। এত ছোট নির্বাচন নিয়ে দলে বিভাজনের সুযোগ নেই আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।
