উক্ত সভায় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তযোদ্ধা আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস এম শাহজাদা এমপিসহ উপজেলা আ’লীগের নবগঠিত সম্পাদকমন্ডলির সদস্য ও ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদক গন।

জানা যায় দীর্ঘ চার বছর পর উপজেলা আ’লীগের নবগঠিত কমিটি, উপদেষ্ঠা ও ইউনিয়ন, ওয়ার্ডেও নেতাদের নিয়ে পরিচিতি সভা ও বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।

 আলোচনা সভায় তৃনমূল নেতাদের বক্তেব্যে উঠে আসে আ’লীগের ১৫ বছরের ক্ষমতায় তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি, সধারণ সম্পাদক ও এমপির কোন যোগাযোগ ছিলোনা। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুধান সহ উপকারভোগীদের নামের তালিকায় বিএনপি সেখানে তৃনমূল নেতাদের কথা বা সুপারিশ মানা হয়নি।

ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে নিতাইচন্দ্র দাস, টিপু মুন্সি, বাবুল, মনির হাওলাদার, লিটন রাড়ী, জাকির,  খলিল ফরাজি,নজির আহমেদ বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার বলে আসছেন আ’লীগের শিকর হচ্ছে তৃনমূল নেতাকর্মীরা। তৃনমূল নেতাকর্মী ভালো থাকলে আ’লীগ ভালো থাকবে। উপজেলায় তৃনমূন নেতাকর্মী দীর্ঘদিন অবহেলীত। আমাদের দেখার কেহ নাই নির্বাচন আসলে একরপর এক দায়িত্ব পালনে বধ্য করা হয়। আমরা মাঠে কাজ করি আর সুযোগ নেয় বিএনপি তা হলে আমাদের কেন ডাকেন তাদের দিয়ে দলীয় কাজ করান। আমাদের কষ্ট হয় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি উপজেলা কমিটির মাত্র ১০ জনকে চিনেন বাকীদের চিনেনা এরা করা এরা কোথা থেকে কমিটিতে আসছে। ইউনিয়ন উপজেলায় একাধিক আ’লীগের নেতারা নির্বাচন করে দলের নেতাকর্মীদের ভিভাজন করে রেখে আসছেন। আমরা কেহ সভাপতির, কেহ সাধারন সম্পাকের, আবার কেহ এমপির লোক। তারা আরো বলেন তৃনমূল নেতারা ভালো না থাকলে দল বিপর্যায় পরবে। আপনারা অনুপ্রবেশকারিদের আর আশ্রয় দিয়েন না । তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবার আহবান জানান। ইউনয়নে বর্ধিত সভা হবে ওয়ার্ডে কাউন্সিল হবে কারন আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামীলীগ করি। আমরা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নে বিশ্বাসি।

উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন আওয়ামীলী ক্ষমতায় চার বছরঅধিক স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএনপিদের সরকারের বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা  দিয়েছেন। সংসদ সদস্য বিভিন্ন লোকদের কু-প্রোরোচনায় দলীয় নেতাদের সবসময় এরিয়ে চলছেন তাতে আমাদের মনে রক্তক্ষন হয়।

উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবদুল আজিজ বলেন উপজেলায় আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের একত্রিত করার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগ কাজ করছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে আমার সাথে দিন নাই রাত নাই ফোন কথা বলে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করি । সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছি। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক দলের তৃনমূল নেতাদের নিয়ে কাজ করার দক্ষতা আমার আছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে কোন প্রকার বাঁধা আসলে তা প্রতিহত করার সাহস ও দক্ষতা আমার আছে এবং আপনাদের নিয়ে আগামীতে প্রতিহত করাবো। আমি দলের নিয়ম মেনে সরকারের সকল উন্নয়ন মূলক কজের বন্টন করি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তার মনগড়া কথা বক্তব্যে প্রকাশ করেছেন তার কোন সত্যতা নাই।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন উপজেলার ইউনিয়নের বার্ধিত সভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কাউন্সিল আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন।

জেলা আ’লীগের সভাপতি বলেন দোষ আছে অভিযোগ আছে । ভুল হবে আমারা সংশোধ করবো। আগামী দিনগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পূনরায় আ’লীগকে ক্ষমতায় আসিন করার জন্য কাজ করাবো।