1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
একেএম ইকবাল আজাদ হত্যা  দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজিরের নির্দেশ  - dailynewsbangla
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারায় ভুয়া ডাক্তার আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ মাসের জেল অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে (ইউএনও)’র মত বিনিময় সভা ভেড়ামারায় পৌরসভা নগর উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মহাদেবপুরে বিএনপি’র সৌহার্দ ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বন্ধ হওয়া উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন আবারও চালুর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান দৌলতপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত ৫ আগষ্ট পরবর্তী  আহত ও নিহতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোন নির্বাচন নয়- ছাত্র সমন্বয়ক  হাসনাত আব্দুল্লাহ  দশমিনায় বীজ ও সার বিতরণ উদ্ধোধন 

একেএম ইকবাল আজাদ হত্যা  দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজিরের নির্দেশ 

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩

একেএম ইকবাল আজাদ হত্যা  দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজিরের নির্দেশ 

মোঃ আশিকুর রহমান রনি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের আওয়ামী লীগ নেতা একেএম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার বিচার। সম্প্রতি উচ্চ আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। এতে করে দীর্ঘ ৮ বছর পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হলো। এদিকে মামলাটি আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ন্যস্ত হওয়ার পর আগামী ১৫ই জুন মামলার আসামিদের সেখানে হাজির হওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। নিহত ইকবাল আজাদের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ জানান,পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই বলে আদেশ দিয়েছেন। আদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ করার কথাও বলা হয়েছে। এর আগে উচ্চ আদালতের স্টে অর্ডারের কারণে মামলার বিচারিক কার্যক্রম থেমে ছিল। দলীয় বিরোধে ২০১২ সালের ২১শে অক্টোবর সরাইল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম ইকবাল আজাদ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

এ ঘটনায় সরাইল আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইসমত আলীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত ইকবাল আজাদের ছোটভাই একেএম জাহাঙ্গীর আজাদ। পুলিশের তদন্তে ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আঁখিতারা গ্রামের  মো. সাদেক মিয়াসহ আরও ৭ জনের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর চার্জশিট দেয় পুলিশ।

পরবর্তীতে তাদের মধ্যে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হালিম ও সহ-সভাপতি মো. সাদেক মিয়া মারা যান। ২০১৩ সালের ৫ই মার্চ ইকবাল আজাদ হত্যা মামলা চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। ওই আদালতে ডাক্তারসহ মামলার ১৪জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী বাকি থাকা অবস্থায় মামলার ১৩৫ কার্য দিবস শেষ হয়ে যায়।

সে কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুসারে মামলাটি আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর মামলাটি আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য ২০১৪ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন (নং-১৬২/২০১৪) করেন মামলার বাদী। এর প্রেক্ষিত হাইকোর্ট  দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করে। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশটিকে স্টে করা হয়। আদেশে আরও বলা হয় হাইকোর্টে পূর্ণাঙ্গ শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলাটি স্টে থাকবে। গত ১৫ই মে পূর্ণাঙ্গ শুনানির পর হাইকোর্ট এই হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলতে কোনো বাধা নেই বলে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে গত ১৮ই মে সুপ্রিম কোর্টও অনুরূপ আদেশ বহাল রাখেন।
এরপরই চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরিত হয় বলে জানান মামলার একজন সাক্ষী ও নিহত ইকবাল আজাদের ভাগ্নে এডভোকেট জয়নাল আবেদীন। তিনি আরও জানান- মামলার আসামিদের আগামী ১৫ই জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার আদেশ করা হয়েছে। ইকবাল আজাদ হত্যা ঘটনার পর সরাইল আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত করে জেলা আওয়ামী লীগ। বহিষ্কার করা হয় আসামিদের। গত বছরের ৯ই মে জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায়  মামলার ২৭ আসামিকে  কোনো কমিটি বা সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত করা বা কোথাও সুযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও  জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছে কুট্টাপাড়া গ্রামের রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও মাহফুজ আলী, সৈয়দটুলা গ্রামের আবদুল জব্বার ও সিরাজ, নয়াহাটি গ্রামের ইসমত আলী, ইদ্রিস আলী, মোকাররম হোসেন সোহেল, বাবু, কুট্টাপাড়ার হারিছ, নয়াহাটির বকুল, লিমন, আবদুল্লাহ, সৈয়দটুলার শরিফ, মিজান, রাসেল, নিজ সরাইলের ইমদাদ, নয়াহাটির হাবিব, ইনু মিয়া, সৈয়দটুলার মুছা মিয়া, নয়াহাটির জনি মিয়া, নয়ন মিয়া, আঁখিতারা গ্রামের মো. সাদেক মিয়া, ঝিলুকদার পাড়ার আরব আলী, অষ্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান, সৈয়দটুলার মিস্টার আলী, আড়িয়ল গ্রামের মো. কামরুল ইসলাম, পূর্ব-কুট্টাপাড়ার আল ইমরান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ