1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
দৌলতপুরে বাদাম চাষে চরবাসীর সাফল্য : বেড়েছে উৎপাদন খরচ - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ধামইরহাটে প্রতিপক্ষের রাসায়নিক বিষ প্রয়োগে  কৃষকের ধানক্ষেত বিনষ্ট  ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন মাথাচারা না দিতে পারে: বগুড়ায় রিজভী  তিন যুগেও শেষ হয়নি যাত্রী বিশ্রামাগারের কাজ  নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত বগুড়ায় সড়কের পাশের ড্রেনের বেহাল দশা সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দশমিনায় প্রশাসন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ইসলামী সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন রাত ও দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত রাত ও দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত নওগাঁর নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের  মতবিনিময় সভা আত্রাই উপজেলার ভাবানীপুর নন্দনালীতে বিয়ের একদিন পর স্বামী হারালেন নববধূ

দৌলতপুরে বাদাম চাষে চরবাসীর সাফল্য : বেড়েছে উৎপাদন খরচ

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

দৌলতপুরে বাদাম চাষে চরবাসীর সাফল্য : বেড়েছে উৎপাদন খরচ

খন্দকার জালাল উদ্দিনঃ  বৈরী আবাহাওয়ার পরও পদ্মার অনাবাদি চরে চিনাবাদাম চাষ করে এবছরও সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলের চাষীরা। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চাষকরা সোনালী ফসল বাদাম ঘরে তুলে তা বিক্রয় করতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অর্থকরী এ ফসল চাষ করে চরবাসীর আর্থিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে।
চলতি রবি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় প্রায় ১হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরে চাষ হয়েছে ৭৫০হেক্টর জমিতে। একসময় পদ্মা নদীতে জেগে উঠা বালুচর পড়ে থাকতো। যা চরবাসীর কোন কাজেই আসতো না। জেগে উঠা পদ্মার চরে চাষীরা চিনা বাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় প্রতিবছরই চাষীদের বাদাম চাষ আগ্রহ বাড়ছে। এবছরও চরে বাদাম চাষ করে চাষীরা সাফল্য পাচ্ছেন। তবে অতিরিক্ত খরার কারনে সেচ দিয়ে বাদাম চাষ করতে গিয়ে চাষীদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তারপরও খরচ বাদ দিয়ে চাষীদের লাভের অংক দ্বিগুন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিঘা প্রতি চাষীদের খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় বাদামের ফলন হচ্ছে ৭ মন থেকে ৮ মন। আর বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমন ৪হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৪হাজার টাকা দরে। অল্প পরিশ্রমে মাত্র ৩মাসের ব্যবধানে লাভ বেশী হওয়ায় চাষীরা বাদাম চাষে চরম খুশি।
দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাদমচাষী আব্দুল জাব্বার জানান, এবছর চরে বাদাম চাষে খরচ বেড়েছে। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ দিয়ে বাদাম চাষ করতে হয়েছে। তারপরও বিঘাপ্রতি ৭/৮ মন হারে বাদম হচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে লাভ হচ্ছে উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুন।
ক্ষেতে বাদাম ঝরিয়ে শ্রমজীবীদেরও আয় বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্ষেত থেকে বাদম ঝরিয়ে ৫’শ টাকা বা তারও বেশী আয় হচ্ছে শ্রমিকদের। এমনটি জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সিরাজ মন্ডল।
কৃষি বিভাগ থেকে বাদামের নতুনজাত সরবরাহ সহ প্রণোদনা ও কারিগরি পরামর্শ প্রদান এবং সবধরণের সহায়তা দেওয়ার ফলে বৈরী আবহাওয়ার পরও বাদাম চাষে চাষীরা এবছরও সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।
চরাঞ্চলে পড়ে থাকা অনাবাদি জমিতে অর্থকরী ফসল বাদাম চাষ সম্প্রসারিত হলে চরবাসীর স্বচ্ছলতা বাড়বে এমনটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ