দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রদিনিধি
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় মন্দিরে পূজা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণ ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যকার সংঘর্ষে আহত কৃষ্ণ ভক্তের একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মত্যু ব্যক্তি হলেন রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের কৃষ্ণ ভক্তের মৃত. অমল্য হাওলাদারের ছেলে দেবাংসু হওলাদার(কালু)।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায় পটুয়াখালী দশমিনায় উপজেলা রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ও বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কৃষ্ণ ভক্ত ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে করে উভয় সম্প্রদায়ের ২৪ জন আহত হয়। উভয় দলের ৭-৮জন উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শে-রে-ই বাংলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। কৃষ্ণ ভক্তের আহত দেবাংসু হাওলাদার গুরুত্বর আহত হলে তাকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় কৃষ্ণ ভক্তের ভবরজ্ঞন হাওলাদার বাদী হয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের ২৭ জনকে আসামী করে ১৬ জানুয়ারি দশমিনা থানায় এজাহার দাখিল করা হয়। উক্ত এজাহার মামলায় ৪নং স্বাক্ষী ছিলেন দেবাংসু হাওলাদার। দেবাংসু হাওলদার দীর্ঘ ৭দিন চিকিৎসার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যায়।
ভবরজ্ঞন হাওলদার জানান গত ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি মতুয়া সম্প্রদায় দফায় দফায় আমাদের কৃষ্ণ ভক্তদের হামলা করে আহত করে। এই ঘটনায় আমি বাদী হয়ে দশমিনা থানায় মতুয়া সম্প্রদায়ের ২৭ জনকে আসামী করে এজাহার দাখিল করি। উক্ত এজাহারের ৪নং স্বাক্ষী দেবাংসু হাওলাদার। দেবাংসু হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শে-রে-ই বাংলা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ১৮ জানুয়ারি ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর আজ মঙ্গবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার মরদেহ ময়না তদন্তের পর বুধবার সন্ধ্যা সময় দশমিনায় গ্রামের বােিড় এসে পৌছাবে ।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান দেবাংসু হাওলদারের মারাযাবার কথা কৃষ্ণ ভক্তের ভবরজ্ঞন আমাকে জানান। আমি দেবাংসু হাওলাদারের মারাযাবার কথা শুনে রাতে আউলিপুর গিয়াছিলাম ২-৩ ঘন্টা অবস্থান করে চলে আসি। আজ বুধবার সন্ধ্যায় দেবংসু হাওলাদারের মরদেহ বাড়িতে আসার কথা আছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে।