ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
দুই দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নাগরপুরে হত্যার ৬ মাস পর লাশ উত্তোলন  বন্দরে মাদক সম্রাট রমজান, বাবুর বিরুদ্ধে পিতাকে মারধরের অভিযোগ আলফাডাঙ্গায় ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড নাটোরে বৈধবালু ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার কাকন ষড়যন্ত্রের শিকার, বাঘায় বেল্লাল মন্ডলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উত্তাল অঞ্চল ভেড়ামারায় বিনামূল্যে বীজ সার বিতরণ নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ট্রাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক  সভা অনুষ্ঠিত মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা ভেড়ামারায় মাদক প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নাগরপুরে হত্যার ৬ মাস পর লাশ উত্তোলন 

আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জব্বার মিয়ার লাশ উত্তোলন

নাগরপুরে হত্যার ৬ মাস পর লাশ উত্তোলন 


নাগরপুর, টাঙ্গাইল সংবাদদাতাঃ  জমি নিয়ে চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধের জেরে, নাগরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা বাদশা তার চাচাতো ভাই জব্বার কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে মামলা হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জব্বার মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের সুদামপাড়া গ্রামে চাচাতো ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে উপজেলার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে জব্বার (৬৫) কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মৃত জব্বার মিয়ার ছেলর বৌ পলি জানান,আমার শশুরের লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের মনপুত হয়নি, তাই আমরা পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করে আজকে ৬মাস পর লাশ তুলেছেন।সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের ফাঁসি চাই।

এলাকাবাসী কাছ থেকে জানা যায়, দাদার ২৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছিল বাদশা গং। ওয়ারিশ অনুযায়ী নিহত জব্বার মিয়া ৬ শতাংশ জমির মালিক ছিলো। আর এই জমি নিয়েই চাচাতো ভাই উপজেলা বিএনপির নেতা বাদশা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জবরদখল করতে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জব্বারকে। এছাড়াও ৫ পাঁচজনকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি। ১৯ মে সোমবার সকাল ৬ টার সময় গোষ্টীগত চাচাতো ভাই খালেক, বাদশা, ছানোয়ারদের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে মারামারিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জব্বার।

সুদামপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৫০) নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র তাঁতী/মৎসজীবী/ উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর থানা পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা।  সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দীপ ভৌমিক বলেন, নাগরপুর থানা পুলিশ ও আমরা আদালতের নির্দেশে পুনঃ তদন্তের স্বার্থে জব্বার মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুই দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

নাগরপুরে হত্যার ৬ মাস পর লাশ উত্তোলন 

আপডেট টাইম : ০৬:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

নাগরপুরে হত্যার ৬ মাস পর লাশ উত্তোলন 


নাগরপুর, টাঙ্গাইল সংবাদদাতাঃ  জমি নিয়ে চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধের জেরে, নাগরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা বাদশা তার চাচাতো ভাই জব্বার কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে মামলা হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জব্বার মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের সুদামপাড়া গ্রামে চাচাতো ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে উপজেলার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে জব্বার (৬৫) কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মৃত জব্বার মিয়ার ছেলর বৌ পলি জানান,আমার শশুরের লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের মনপুত হয়নি, তাই আমরা পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করে আজকে ৬মাস পর লাশ তুলেছেন।সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের ফাঁসি চাই।

এলাকাবাসী কাছ থেকে জানা যায়, দাদার ২৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছিল বাদশা গং। ওয়ারিশ অনুযায়ী নিহত জব্বার মিয়া ৬ শতাংশ জমির মালিক ছিলো। আর এই জমি নিয়েই চাচাতো ভাই উপজেলা বিএনপির নেতা বাদশা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জবরদখল করতে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জব্বারকে। এছাড়াও ৫ পাঁচজনকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি। ১৯ মে সোমবার সকাল ৬ টার সময় গোষ্টীগত চাচাতো ভাই খালেক, বাদশা, ছানোয়ারদের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে মারামারিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জব্বার।

সুদামপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৫০) নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র তাঁতী/মৎসজীবী/ উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর থানা পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা।  সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দীপ ভৌমিক বলেন, নাগরপুর থানা পুলিশ ও আমরা আদালতের নির্দেশে পুনঃ তদন্তের স্বার্থে জব্বার মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।