দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে স্বাস্থ সেবিকাসহ ৬৯জন ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক রোগী। উপজেলায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণসহ তীব্র স্যালাইন সংকটে। চড়া দামে ফার্মেসী থেকে স্যালাইন কিনে নিচ্ছে এমন অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে প্রায় তিন শতাধিক রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ সেবিকাসহ ৬৯জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ। আসন না থাকায় হাসপাতালের বারান্দায় রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের সামাল দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হাসপাতালে স্যালাইনসংকটও রয়েছে। রোগীর স্বজনা জানান, বাহিরের ফার্মেসী থেকে চড়া দামেও স্যালাইন মিলছে না। শহরের পাইকারি ওষুধ বিক্রেতা শামিম মোল্লা জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে আইভি স্যালাইনের তীব্র সংকট চলছে। স্যালাইনের জন্য মানুষ রাস্তায় ঘুরছে। ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাহিদাপত্র দিয়েও স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না।
মানুষ এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। স্যালাইনের সংকট থাকায় যার পাঁচটি দরকার ছিল, তাকে একটি দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কর্মরত সিনিয়র নার্স মোসা. হোসনেয়ারা বেগম ও কৃষ্ণা রানী বলেন, আইভি স্যালাইন ছাড়া হাসপাতালে কোন ঔষুধের সংকট নেই আর গত কয়েকদিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এত রোগীর চাপে হিমসিম খাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, কোন ঔষধপএসহ আইভি স্যালাইনের সংকট নেই। মঙ্গলবার দুই শ’ ও গতকাল বুধবার এ্যাম্বুলেন্সএ যোগে পটুয়াখালী থেকে দেড় শতাধিক আইভি স্যালাইন আনা হয়েছে।