মোসাঃ শেখ সুমাইয়া শহীদ: নোয়াখালীর কবির হাট উপজেলায় বড় ভাইয়ের ধারাবাহিক ধর্ষণে ছোট বোন (১৬) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত বাহারকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার বাহারকে শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে সে।
৭ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো: মহিবউল্ল্যাহ তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কবিরহাট থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, কিশোরীটির মা নেই। বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধি। তিনি চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় একটি ইট ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।
কিশোরীর বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বাহার গত ৩-৪ বছর ধরে ছোট বোনকে ধর্ষণ করেছেন। লোকলজ্জার ভয়ে কিশোরী বিষয়টি কাউকে জানায়নি। সম্প্রতি তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে গত ২৩মার্চ তার চাচি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। কিশোরীটি বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে গত ২৪ মার্চ বাহারের বিরুদ্ধে কবির হাট থানায় ধর্ষণমামলা দায়ের করেন।কবিরহাট থানার ওসি টমাস বড়ুয়া বলেন, মামলা দায়েরের পর বাহার পলাতক ছিল। সে চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার একটি ইট ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলো। পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাহারকে ইটভাটা থেকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে নোয়াখালী নিয়ে আসে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়