রাজশাহী ব্যুরোঃ দিন দিন রাজশাহী নগরীতে মোটরসাইকেলে করে ছিনতাই যেন বেড়েই চলেছে। যা পুলিশ প্রশাসন ও সচেতন। মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর এই ছিনতাই চক্রের একটি গ্রুপকে দীর্ঘদিন থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলো ইয়াসির আরাফাত নামের এক ছিনতাইকারি। এই আরাফাত এর আগেও দুইবার গ্রেফতার হয়েছিলো। পুলিশকে বোকা বানাতে কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও ফিরে আসে পুরাতন সেই ছিনতায় নামের ব্যবসা । অবশেষে সিসি টিভির ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বর্ণনায় আবারও পুলিশ গ্রেফতার করেছে দুর্ধর্ষ ছিনতাই চক্রের হোতা ইয়াসির আরাফাতকে। সে নগরীর রাজপাড়া থানা এলাকার অধ্যাপক রাইহানুল ইসলামের ছেলে।
তার দেওয়া তথ্য মতে, শনিবার ৩০ এপ্রিল রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ মিম ও শাওন নামে তার আরও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে।
বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ কায়সার জানান, নগরীর ষষ্টীতলা এলাকার মো. টিটু ২৭ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন, তার মেয়ে সৈয়দা তাসনীন তামান্না মিষ্টি বাড়ি থেকে বের হয়ে ষষ্টীতলা মোড়ে পৌঁছালে একটি কালো রঙয়ের মোটরসাইকেল পেছন থেকে এসে তার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ব্যাগে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিল। মামলা হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ওই এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ইয়াসির আরাফাতকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরপর মহিলা কলেজের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে বাদী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা চিনতে পারেন। ইয়াসির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তীতে শনিবার অভিযান চালিয়ে মিম ও শাওনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশসুত্রে জানাযায়,এই ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে বাইক নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও আরাফাত বাইক নিয়ে ছিনতাই চক্রের মূল হোতা বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
ইয়াসিরের এলাকাবাসী বলছে, দীর্ঘ দিন ধরে নেশা, জাল টাকার কারবার, ছিনতাই ও মেয়েদেরকে উত্যক্ত করে। কিন্তু তার বড় ভাই রাজশাহীতে একটি প্রভাবশালী সাংবাদিক সংগঠনের নেতা হওয়ায় সে বার বার পারপেয়ে যায়।
কে এই ইয়াসির আরাফাত, কি তার পরিচয়? বিস্তারিত জানতে পরবর্তিতে চোখ রাখুন।