কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মেয়ের মাথায় আগ্নোস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্বক কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় নিজবাড়িতে এঘটনা ঘটেছে। মেয়েটি কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এবছর গ্র্যাভিটেশন (অনার্স) শেষ করেছে।
অভিযুক্ত ওই ছেলের নাম তিতাশ (৪০)। তিনি পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি ছেলে ও বরিশাল জেলার বাসিন্দা।
বুধবার সকালে সরেজমিন গেলে মেয়েটির মা বলেন, স্থানীয় ওয়াইফাই ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে তিতাশসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে পাকা ও দেওয়ালে ঘেরা বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এসময় তাঁদের হাতে আগ্নোস্ত্র, দা, ডাসা, দড়ি ছিল। তাঁরা এসেই আমাকে বলে তোঁর মেয়েকে তিতাশের সাথে বিয়ে দিতে হবে। না হলে মেরে ফেলা হবে। বিয়েতে রাজি না হলে ওরা প্রথমে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিন নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
তিনি আরো বলেন, এ বিয়ে আমরা মানিনা। থানায় মামলা করা হবে। আমরা খুব ভয়ে আছি।
ওই কলেজ ছাত্রী বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে থেকে তিতাশ আমাকে বিয়ের কথা বলে আসছে। গতকাল রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেছি। স্বাক্ষর করা হলে রাত দেড়টার দিকে ওরা চলে যায়।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া রায়হান উদ্দিন বলেন, দোকান বন্ধ করে ১০ টার দিকে বাসায় ফিরি। সে সময় রোমান, লাহোরী সহ কয়েকজন আমাকে ডাক দেয়। বাইরে আসা মাত্রই মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে একরুমে আটকে রাখে। পরে জানতে পারি অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে করে চলে গেছেন।
এবিষয়ে জানতে রোমান ও লাহোরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পান্টি এলাকার পপি সুপার মার্কেটে যাওয়া হয়। গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাঁদের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত তিতাশকে (০১৭১১১৬৪৩৫৬) কল করা হলেও তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।