দৌলতপুর(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আকিজ বিড়ি কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে পুলিশে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে শ্রমিকরাও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ একরাউন্ড ফাকা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সড়ক অবরোধকারী বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষে এক পুলিশসহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল (৩২), সামসুল (৩৪) ও ওয়াসিম (৩৫) নামে ৩জন শ্রমিককে আটক করেছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হোসেনাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আকিজ বিড়ি কারখানার শ্রমিক নান্নু, বিপ্লব ও কালামসহ বরখাস্ত হওয়া শ্রমিকরা আজ বুধবার সকালে হোসেনাবাদ আকিজ বিড়ি কারাখানায় যোগ দিতে গেলে বিড়ি কারখানার ম্যানেজার পলাশের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় কারাখানার ভেতর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কারাখানা কতৃপক্ষ আকিজ বিড়ি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের হোসেনাবাদ বাজারে কাঠের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বেলে সড়ক অবরোধ করেলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক অবরোধকারী শ্রমিকদের ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক করে। শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের লঠিচাজে ৪জন শ্রমিক ও শ্রমিকদের ইটের আঘাতে একজন পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তবে শ্রমিক নেতা নান্নু ও টিপু জানান, নকল ব্যান্ডরোল দিয়ে আকিজ বিড়ির প্যাকেট তৈরী করার প্রতিবাদে আকিজ বিড়ি কারখানার ম্যানেজার পলাশ ও সহকারী ম্যানেজার আমিরুল ইসলামের সাথে শ্রমিকদের বাকবিতন্ড হয়। এরই জের ধরে বিড়ি কারখানার ম্যানেজার পলাশ পুলিশ দিয়ে শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করালে এবং বিড়ি কারাখানা বন্ধ ঘোষণা করলে প্রতিবাদে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত জানান, হোসেনাবাদ আকিজ বিড়ি কারাখানার শ্রমিকরা হোসেনাবাদ বাজারে সড়ক অবরোধ ও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ঘটনায় ৩জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। শ্রমিকদের ইটপাটকেলে একজন সদস্য পুলিশ আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।