সবুজ ইসলাম (পবা) রাজশাহী রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ভূগরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ে ঢুকতে পারছে না শিক্ষক সহ অত্র বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের গেটের সামনে থেকে বরাবর পুরোটা জায়গায় ইটের গাথুঁনি দিয়ে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী সহ কয়েকজন শিক্ষক বিদ্যালয়ের সামনে বসে আছে এবং তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু তারা সীমানা প্রাচীরের জন্য ঢুকতে পারছে না।
এই অবস্থায় অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ জান্নাতুন নেসা সাথে কথা বললে তিনি জানান, সারাদেশের ন্যায় আমাদের বিদ্যালয়েও ঈদের ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু ঈদের ছুটি আজকে শেষ হলে আমরা এসে দেখতে পাই আমাদের স্কুলের সামনে ইটের গাথুঁনি দিয়ে স্থায়ীভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার ফলে আমরা শ্রেণীক্ষে প্রবেশ করতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমাদের সামনের দিন কি হবে কিংবা আমাদের স্কুলের রাস্তা টা আমরা কিভাবে ফিরে পাবো তা নিয়ে আমরা স্কুল কতৃপক্ষ বিষণ ভাবে উদ্ধিগ্ন আছি। আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে পবা উপজেলা উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে অবগত করেছি।
স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায় পলাশ এবং জয়নালের নেতৃত্ব এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্বে বিদ্যালয়ের রাস্তা থাকলেও তারা বিদ্যালয় ছুটি থাকাকালীন সময়ে রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে।
মুঠোফোনে জয়নালের সাথে কথা বললে এবং এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি আমার পৈতৃক কিনা সম্পত্তিতে আমার জায়গায় আমি দেওয়াল দিয়েছি এখানে স্কুলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। সামনে যতটুকু জায়গায় আমার ছিলো সেই ততটুকু জায়গাতেই দেওয়াল দেওয়া হয়েছে।
পরে পবা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি জনাব মোঃ হারুনআর রশিদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্কুলের রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অবৈধ। এই কাজে যারা জড়িত আছে সঠিক তদন্ত করে তাদের উপযুক্ত বিচার দাবী করছি এবং এই সমস্যার অতি দ্রুত একটি ইতিবাচক সমাধান আশা করছি।
পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি নিজে সরজমিনে বিদ্যালয়ে গেছি এবং এখানকার মূল সমস্যাগুলো কি কি তা খতিয়ে দেখছি। আমি দু পক্ষ কে নিয়ে একসাথে বসে এটার যাতে একটা সুষ্ঠ সমাধান হয় সেই বিষয়ে কাজ করছি। আশা করছি এই সমস্যার একটা সুষ্ঠ সুন্দর সমাধান হবে এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তারা পূর্বের ন্যায় শ্রেণীকক্ষে ক্লাস
করতে পারবে।