বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: অবশেষে টানা ১১ বছর পর ফরিদপরের সালথা উপজেলার আলোচিত ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষনার দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টম্বর ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় ঘোষনা করবেন। ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মিয়া উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দী গ্রামের মৃত ফকরদ্দীন মিয়া ছেলে ও দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ঢাকা টাইমসের সালথা-নগরকান্দা প্রতিনিধি নুরুল ইসলামের বাবা।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন বুকুল মিয়া বলেন, সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষনার জন্য আগামী ১৫ সেপ্টম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তিনি বলেন, এ মামলার সাতজন আসামীর মধ্যে প্রধান আসামী হিমেল খান পলাতক রয়েছে। বাকি আসামীদের সামনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। আমরা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবি আসামীদের খালাস চেয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, মামলার ২২ জন স্বাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন। সাক্ষীরা মামলার সত্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বিধায় আশা করি আলোচিত এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির রায় পাবো।
মামলার বাদী সাংবাদিক নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবার খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। কেউ যেন খালাস না পায়। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক। যাতে আর কেউ আমার বাবার মত হত্যার শিকার না হন। কেউ যাতে কাউকে হত্যা করার সাহস না পায়।
উল্লখ্য, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগে মামলা প্রধান আসামী হিমেল খান ব্যবসায়ী মজিবর মিয়ার ছেলে রেজাউল মিয়ার মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তখন মজিবর মিয়া বাদী হয়ে হিমেলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার করার পর ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর গভীর রাতে মোটরসাইকেল ফেরত দেয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে আসামীরা। এ ঘটনায় মোট সাতজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মজিবর মিয়ার ছেলে সাংবাদিক নুরুল ইসলাম। আসামীরা হলেন, হিমেল খান, আলমগীর খান, জুয়েল খান, সোহেল খান, সাকিল খান, আজগর খান ও ইলিয়াস মোল্যা।