1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
সালথায় ফোন নাম্বার না দেওয়ায় পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে ছাত্রীদের পেটালো বখাটেরা ছাত্ররা - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দৌলতপুরে অপহরনের ৭দিন পর অটো চালকের লাশ উদ্ধার দৌলতপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুনে গো-খামার ভস্মীভূত, ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি বগুড়ায় ৮টি ধারালো অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার  নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  রাণীনগরে হিট স্ট্রোকে কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু বোয়ালমারীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা আসামি গ্রেপ্তার মৃত্যু পথযাত্রী বাবাকে দেখতে চাওয়ায় পাষণ্ড স্বামীর হাতে লাশ হলো স্ত্রী!  জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কীমের আওয়াতায় এক দিনের ওরিয়েন্টেশন  রাজশাহীতে বিদ্যুৎ কন্ট্রোলবক্সে আগুন ধরে বন্ধ হয়েছে আদালত কার্যক্রম

সালথায় ফোন নাম্বার না দেওয়ায় পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে ছাত্রীদের পেটালো বখাটেরা ছাত্ররা

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সালথায় ফোন নাম্বার না দেওয়ায় পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে কয়েকজন ছাত্রীকে পিটিয়েছে বখাটে ছাত্ররা। হামলা ঠেকাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রও হামলার শিকার হয়। এরা সবাই দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল। খবর পেয়ে সালথা থানার ওসি সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ছাত্রীদের উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে পৌছে দেন। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার ছাত্র-ছাত্রীরা হলেন, রুকসানা আক্তার, রুমি খানম, মেহেবুবা আকতার, সুমাইয়া আক্তার, মীম খাতুন, জুলেখা আকতার, ডলি আকতার, মো. হামিম ফকির ও রিয়াজুল ইসলাম। তারা সবাই উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী। এসব ছাত্র-ছাত্রীরা সালথা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রসার ইব্রাহিম হুসাইন বলেন, গত ৩-৪ দিন আগে আমার মাদরাসার কয়েকজন ছাত্রী সালথা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে তাদের গাড়িরোধ করে ফোন নাম্বার চায় মাঝারদিয়া মাহিরুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র রাহাত হোসেন ও তার বন্ধু স্থানীয় বখাটে হৃদয় শেখ। হৃদয় শেখ সোনাপুর এলাকার ইউপি সদস্য মুন্নু শেখের ছেলে। ফোন নাম্বার না দেওয়ায় তখন তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও কথাকাকাটি হয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাহাত ও হৃদয়ের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরই জেরধরে বুধবার দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে সোনাপুর মোড় থেকে ওই ছাত্রীদের উপর হামলা চালায় রাহাত, হৃদয় ও তাদের সহযোগিরা। সহযোগিরা বেশিরভাগই মাঝারদিয়া মাদরাসার ছাত্র। তারা লোহার রড, হাতুরী, রামদা ও চাপাতী দিয়ে ওই ছাত্রীদের আঘাত করা করে। এ সময় হামলা ঠেকাতে গিয়ে ওই ছাত্রীদের সাথে থাকা কয়েকজন ছাত্রও আহত হয়। তবে কেউ মারাত্বক আহত হয়নি। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার শিকার জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র হামিম ফকির বলেন, আমরা পরীক্ষা দিয়ে অটোরিক্সাযোগে বাড়ি ফেরার পথে সোনাপুর মোড়ে আমাদের গাড়ি থামায় দুটি ছেলে। তারা প্রথমে অটোরিক্সার চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরে গাড়িতে থাকা ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কিছু সময় পর ওই ছেলে দুটির সাথে স্থানীয় কয়েক যুবক ও মাঝারদিয়া মাদরাসার ছাত্ররা যোগ দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। অটোরিক্সা চালক আব্বাস আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার পথে কয়েকজন আমাকে বলে এই গাড়ি থামা। গাড়ির থামানোর সাথে সাথেই দুইজনকে টেনে নামিয়ে মারধর শুরু করে। আমি ঠেকাতে গেলে রামদা ও চাপাতী নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসলে আমি ভয়ে পালাই।
মাঝারদিয়া মাহিরুন্নেছা দাখিল মাদরাসার সুপার মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি ভাল জানি না। আমি আমার ফরিদুপরের বাসায় রয়েছি। খোজখবর নিয়ে দেখছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ৯৯৯ এ ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি সোনাপুর মোড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি মেয়েদের ফোন নাম্বার চাওয়াকে কেন্দ্র করে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে মাঝারদিয়া মাহিরুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে ও জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের মারামারি বাধে। পরে জগজ মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িয়ে বাড়ি পৌছে দেয়া হয়। আগামী ১০ অক্টোবর ব্যবহারিক পরীক্ষার দিন ওই ছাত্র-ছাত্রীদের পুলিশী নিরাপত্তায় কেন্দ্রে আনা-নেওয়া হবে। এ ঘটনায় হামলার শিকার জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র হামিম ফকির থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ